দেশের সময়ঃওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়েছে ফণী। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পুরীর সৈকত এলাকা। বাংলার দক্ষিণ-ঘেঁষা এই রাজ্যে বিপর্যয়ের জের এসে পৌঁছেছে এই দক্ষিণবঙ্গেও। সকাল থেকেই মুখ ভার ছিল আকাশের। একটু বেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টিও। রাজ্যবাসীর কৌতূহল, ওড়িশা উপকূলের এই সাইক্লোনে ঠিক কতটা বিপর্যস্ত হবে বাংলা।
টানা কয়েক দিনের সতর্কবার্তার জেরে অনেকের মনেই উস্কে গিয়েছে বছর দশেক আগের আয়লার স্মৃতি। অনেকেই মনে করছেন, এই বারের ঝড় তার চেয়েও বেশি মারাত্মক হচে চলেছে। বস্তুত, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি হলে, ফণীর প্রভাব আয়লার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি মাত্রায় পড়বে দক্ষিণবঙ্গে।


তবে আবহাওয়া দফতর বলছে, ফণীর প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হলেও, তা খুব জোরদার হবে না। তবে এর সরাসরি প্রভাব বাংলায় পৌঁছবে আগামী কাল, শনিবার ভোরে। আর তার জেরে ১০০ থেকে ১১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। সন্ধ্যে পর্যন্ত হাওয়ার বেগ ধীরে ধীরে নামতে পারে ৬০-৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
তবে দক্ষিণবঙ্গের ওড়িশা ঘেঁষা জেলাগুলিতে ফণী আছড়ে পড়ার পরে, আজই প্রতি ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। টানা ছ’ঘণ্টা চলবে এই ঝড়ের তাণ্ডব। সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি। আগামী কাল, শনিবার সকালে তা স্তিমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ফণী ক্রমেই উত্তর দিকে এগিয়ে আসবে। অর্থাৎ ওড়িশা থেকে প্রবেশ করবে দক্ষিণবঙ্গে। তার সঙ্গে সঙ্গেই প্রকোপ বাড়বে ঝড়-বৃষ্টির।
আবহাওয়া দফতরের তরফে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা আগাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ এবং টেলিফোন পরিষেবা বিপর্যস্ত হতে পারে। বিভিন্ন জায়গায় উপড়ে যেতে পারে গাছ, ভাঙতে পারে গাছের ডাল। ওড়িশা সৈকতে বন্যার আশঙ্কার কথাও ঘোষণা করেছে তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here