দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ স্কুল কবে খুলবে? এই নিয়ে শিক্ষা মহল থেকে অভিভাবক সব মহলই চিন্তিত।
প্রায় দুই বছর হতে চলল বন্ধ রয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। মাঝে কয়েকবার খোলা হলেও, তা বেশিদিনর জন্য সম্ভব হয়নি। কিছু সময়ের জন্য, আংশিকভাবে স্কুল খোলার কয়েকদিনের মধ্যেই তা ফের বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল সরকার।
এই পরিস্থিতিতে, দীর্ঘদিন পড়ুয়ারা ঘরে বসে থাকার কারণে অভিভাবকদের মধ্যেও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। কারণ, অনলাইন পঠনপাঠন প্রক্রিয়া চালু থাকলেও, পড়াশোনার স্বাভাবিক ছন্দটার যেন তাল কোথাও একটা কেটে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অভিভাবক অভিভাবিকাদের একটি বড় অংশ। বিভিন্ন জায়গায় অভিভাবকরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামছেন। একই দাবিতে এদিন বনগাঁয় পথে নামল ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকেরা। এক নম্বর রেলগেট থেকে শতাধিক অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীরা পোস্টার ব্যানার হাতে নিয়ে যশোর রোড ধরে হাঁটতে থাকেন। ডিআই অফিসে স্কুল খোলার দাবিতে স্মারকলিপিও দেন তারা।
অভিভাবকদের বক্তব্য, এখন সর্বত্র বিভিন্ন মেলা ,খেলা সবকিছুই চলছে৷ ছাত্র-ছাত্রীরা মেলায়, বিয়ে বাড়ি সহ বহু জায়গায় যেতে পারছে । তাহলে স্কুলে কেন যেতে পারবে না।
অন্যদিকে, সোমবার দুপুরে স্কুল খোলার দাবিতে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভও দেখান এসএফআই কর্মীরা। এই সবের মধ্যেই স্কুল খোলার বিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (West Bengal Education Minister Bratya Basu)। বললেন, “রাজ্য সরকার স্কুল খোলার পক্ষে।”
রাজ্য সরকার পাড়ায় স্কুল চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই উদ্যোগের সূচনায় এসে শিক্ষামন্ত্রী জানালেন, ‘আশা করছি খুব তাড়াতাড়িই স্কুল খোলা সম্ভব হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেবেন।’
ব্রাত্য বসু এদিন বলেন, ‘স্কুল খোলার ব্যাপারে পুরোটা বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের ওপর নির্ভর করে না, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ আছেন। স্বাস্থ্য দফতর কোভিড বিষয়ে পর্যালোচনা করছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের নিয়মিত কথা হচ্ছে।’
স্কুল খোলার ব্যাপারে চিন্তিত হতে মানা করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের ক্ষতি না করে কোভিড সংক্রমণ না বাড়িয়ে যাতে আবার স্কুল খুলে, স্কুল বন্ধ করতে না হয়, তার পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানাবেন কবে স্কুল খুলতে পারে।’
শেষে তিনি এও বলেন, ‘আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়িই স্কুল খুলে দিতে পারব। তবে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেবেন।’