দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প শুধু মানুষের দোরগোড়ায় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এর সঙ্গে জুড়ে যাবে বাংলার লক্ষ লক্ষ মহিলার কর্মসংস্থান, এমনটাই ভাবনা নবান্নের৷
মঙ্গলবার এবিষয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সব জেলার জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলা শাসক, জেলার খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে এই বৈঠক হয়। দু’লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী কী ভাবে তৈরি হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।
এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি কী ভাবে কাজ করবে তা নিয়েই বৈঠক আলোচনা করেন মুখ্য সচিব।আধার লিঙ্ক থেকে শুরু করে জল স্বপ্ন সহ বিভিন্ন প্রকল্পে আরও গতি আনতে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানাগিয়েছে।
একুশের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তেহারে অন্যতম বিষয় ছিল দুয়ারে রেশন। সরকারে আসার পর তা বাস্তবায়িত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকের মতে, দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছতে প্রচুর লোকবল চাই। তা পূরণ করতেই দুলক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নবান্ন।
পর্যবেক্ষকরা যদিও এর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, একুশের ভোট দেখিয়ে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বাংলার মহিলার সমর্থন উজাড় করে দিয়েছেন। সেটাকেই মর্যাদা দিতে চাইছেন তিনি। তাঁদের মতে, এই প্রকল্পে সারা বছর কাজ থাকবে। সেইসঙ্গে আরও অন্যান্য প্রকল্পও জুড়ে যাবে। অর্থাত্ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের পাকাপাকি কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। অর্থনীতির অনেকের মতে, মমতা সরকারের এই ভাবনা একেবারে ‘আউট অফ দ্য বক্স’। যা সত্যিই বাস্তবায়িত হলে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক আরও সুদৃঢ় হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ।
মহিলাদের জন্য এবার একাধিক প্রকল্প নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলাদের হাত খরচা দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ হয়েছে বাজেটে। এবার দুয়ারে রেশন পৌঁছনোর কাঠামোতেও মহিলাদের যুক্ত করার বিষয়ে জোর দিল মমতা সরকার।