দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০৫ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫ এপ্রিল, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫৭৭। কোভিড ১৯ সংক্রমণে এখনও পর্যন্ত ভারতে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭৫ জন। অর্থাৎ এই মুহূর্তে ভারতে কোভিড ১৯ অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩২১৯।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০৩। তারপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯০। তামিলনাড়ুতে ৪৮৫ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। এই রাজ্যে মারা গিয়েছেন ২৪ জন। গুজরাতে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
এছাড়াও নতুন করে দুই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। অরুণাচল প্রদেশে ১জন ও ঝাড়খণ্ডে ৩জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে রবিবার আরও বেড়ে গেল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এদিন সন্ধ্যা ৬ টায় যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে বাংলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
রবিবার সকাল ৯ টায় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিনে বলা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯। অর্থাৎ নতুন করে আরও ১১ জনের মধ্যে কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ যাবৎ ১০ জন কোভিড আক্রান্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক বুলেটিন প্রকাশ করার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরও একটি বুলেটিন প্রকাশ করেছে। ওই বুলেটিনের প্রতিলিপি নীচে দেওয়া হল।
স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর মতো উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তি চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের নিউটন ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়েছেন। যদিও তার কোভিড-১৯ টেস্ট এখনও করা হয়নি। একই ভাবে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক ব্যক্তি ভর্তি হয়েছেন এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। কিন্তু তাঁরও কোভিড-১৯ টেস্ট হয়নি এখনও।
এম আর বাঙ্গুরে আরও এক রোগী মাঝারি উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন, তাঁর শরীরে কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তা ছাড়া আরও দু’জনের শরীরে কোভিড পজিটিভ মিলেছে। তাঁদের শরীরে অন্য রোগের উপসর্গও রয়েছে। তাঁদের একজন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল বা অন্যজন সল্টলেকের এএমআরআই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।