‘আমফান’, ভয়ঙ্কর গতিতে এগোচ্ছে রাজ্যের দিকেই, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় মানা

0
3462

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে আজ বিকেলেই। ভয়ঙ্কর গতিতে রাজ্যের দিকেই এগিয়ে আসার কথা এই ঘূর্ণিঝড় আমফানের ( এই নাম দিয়েছে তাইল্যান্ড )। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলবারের মধ্যেই রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকেলের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এই নিম্নচাপ। রবিবার থেকে তার শক্তি আরও বাড়বে। শুরুতে এই ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। রবিবারের পর থেকে ঘূর্ণিঝড় দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাবে।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৭০ থেকে ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। অবশ্য স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে কিছুটা শক্তি হ্রাস করবে এই ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু তারপরেও যা ক্ষমতা থাকবে তাতে রাজ্য, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে ভারী ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে গভীর নিম্নচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে তার দূরত্ব ১০৬০ কিলোমিটার। দিঘা থেকে দূরত্ব ১২২০ কিলোমিটার। বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১৩৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে গভীর নিম্নচাপটি।

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে উপকূল সংলগ্ন জেলা অর্থাৎ কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবারের থেকে বুধবার ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে পূর্বাভাসে। এই দু’দিন দক্ষিণবঙ্গের এই সাত জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

শুধু ভারী বৃষ্টি নয়, মঙ্গল ও বুধবার উপকূল অঞ্চলে ৬৫ থেকে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার হতে পারে বলেও পূর্বাভাস। এই ঝড়ের প্রভাব ওড়িশা উপকূল ও বাংলাদেশেও পড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

ঘূর্ণিঝড় আমফানের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে ভয়ানক জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই সময়ে মৎস্যজীবীদের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে যেন সমুদ্রে মাছ ধরতে কেউ না যান। যাঁরা এই সময় সমুদ্রে আছেন, তাঁদের রবিবারের মধ্যে স্থলভাগে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গে আসার পরে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের দিকে চলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু পুরোটাই নির্ভর করছে ঘূর্ণিঝড়ের বাঁক নেওয়ার উপর। সময়ে সময়ে এই সংক্রান্ত আরও বুলেটিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে আলিপুরের তরফে।

এদিকে শনিবার বিকেলেই পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামীকাল থেকে এই ঘূর্ণিঝড়ের কিছুটা প্রভাব রাজ্যে পড়তে চলেছে বলে জানানো হয়েছে।

Previous articleTrucks held up at Petrapole for no reason 
Next articleআমডাঙায় জোড়া খুনে গ্রেফতার অভিযুক্ত কনস্টেবল,বিজেপি সাংসদকে নিহত কর্মীদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা পুলিশের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here