দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলাদেশের সাদাত রহমান ২০২০ সালের আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর বয়স ১৭।
শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগে এক অনুষ্ঠানে বাঙালি সাদাতের হাতে শান্তি পুরস্কার তুলে দেন নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই।
সুখ এবং শান্তি! পার্থক্য অনেক! সুখ সামগ্রীতে পাওয়া যায়! শান্তি আসে মন থেকে। বাংলাদেশের সচেতন ব্যক্তিরা বাংলার ছেলে সাদাতের এই পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সোনার ভবিষ্যৎ আশা করছেন। তাঁদের মতে, দেশের শিশুরা শিখুক, অনুপ্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করুক সাদাতকে।
পুরস্কার জিতে, সাদাত এমন একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম পেয়েছেন সত্যই যা তাঁকে বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের কাছে বার্তা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে।
‘সাইবার বুলিং’ থেকে শিশুদের রক্ষায় সামাজিক সংগঠন এবং মোবাইল অ্যাপস ‘সাইবার টিনস’ গঠন করার জন্যে তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে আজকাল সব কাজকর্ম চলছে। শিশু-তরুণ-তরুণীরা দেখা যায় অনলাইনেই অধিকাংশ সময় কাটাচ্ছে। কিন্তু এই অনলাইন শিশু-কিশোরের কাছে কতটুকু নিরাপদ?
সাদাত এমন একটি বিশ্বের আশা করেন, যেখানে কম বয়সীরা অনলাইনে নিরাপদ বোধ করবে। সাদাত এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘আমি প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকি। এবং খুবই সাধারণ একজন ছেলে। যদি আমি কিশোর-কিশোরীদের সাইবার বুলিং থেকে বাঁচাতে পারি তবে অন্যরা কেন পারবে না?’
শিশু নির্যাতন বন্ধ করার ক্ষেত্রে অনলাইন সচেতনতামূলক অ্যাপ বানানোর জন্যে স্বীকৃতি পেয়েছেন নড়াইলের সন্তান সাদাত রহমান।
উল্লেখযোগ্য যে, প্রত্যেক বছরই শিশু শান্তি পুরস্কার দেয় ‘কিডস রাইটস’ নামক একটি শিশু অধিকার সংগঠন।
এই পুরস্কারের জন্যে আবেদন করতে পারেন ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা। পুরস্কারটি দেয়া হচ্ছে ২০০৫ সাল থেকে। এবং প্রতি বছর চলে আসছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অনন্য এই পুরস্কার তুলে দেন।
বলা বাহুল্য, কিডস রাইটসের বিশেষজ্ঞ কমিটি ৪২টি দেশের ১৪২ জন প্রতিযোগীর মধ্যে সাদাতকে চলতি বছরের গর্বের এই পুরস্কারের জন্যে বিজয়ী ঘোষণা করেছে। পুরস্কারের পাশাপাশি সাদাতকে দেয়া হবে এক লাখ ইউরো।
১৭ বছর বয়সী পুরস্কারবিজয়ী সাদাত নড়াইল আবদুল হাই সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
সাইবার বুলিং এবং সাইবার ক্রাইম থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষা করার জন্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে সাদাত এবং তাঁর দল।
মূলত সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে একজন কিশোরীর (১৫) আত্মহত্যার পরই আর দেরি না করে নিজের কাজে নেমে পড়েন সাদাত। (তথ্য সূত্র প্রদীপ দে, ঢাকা)