দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে পেশ হল অর্থনৈতিক সমীক্ষা। তাতে বলা হয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি-র বৃদ্ধি পাঁচ শতাংশের বেশি হবে না। তবে আগামী আর্থিক বছরে জিডিপি বাড়বে এক থেকে দেড় শতাংশ। ২০২১ সালের মার্চে জিডিপি বৃদ্ধির হার পৌঁছবে ছয় থেকে সাড়ে ছয় শতাংশে। গত বছর অর্থনৈতিক সমীক্ষায় আশা প্রকাশ করা হয়েছিল, ২০১৯-‘২০ সালের আর্থিক বছরে জিডিপি বাড়বে সাত শতাংশ হারে। সেই আশা পূরণ হয়নি।
এবার অর্থনৈতিক সমীক্ষা তৈরি করেছেন প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামনিয়ান। নিয়মমতো অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশের পরদিন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হয়। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রাজকোষ ঘাটতি কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা আগে স্থির করা হয়েছিল, তা হয়তো পূরণ করা যাবে না। এপ্রিল থেকে যে আর্থিক বছর শুরু হচ্ছে, তাতে আর্থিক ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে সরকারকে।
তার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সরকার কর ছাড় দিয়েছে। তার ফলে কমেছে রাজস্ব আদায়। আগে আশা করা হয়েছিল ২০১৯-‘২০ সালে রাজকোষ ঘাটতি হবে ৩.৩ শতাংশ। বাস্তবে হয়েছে ৩.৮ শতাংশ।
আগামী দিনে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হলে পরিকাঠামোয় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এছাড়া খাদ্য ও আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে ভর্তুকিও কমানো যেতে পারে। সরকার এখন গরিবদের বাজারের চেয়ে কম দামে খাদ্য সরবরাহ করে। ২০১৯-‘২০ সালে খাদ্যে ভর্তুকি দিতে সরকারের খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার কোটি টাকা। ওই আর্থিক বছরে সরকার মোট ভর্তুকি দিয়েছে ৩ লক্ষ কোটি টাকা। তার বেশিরভাগই দেওয়া হয়েছে খাদ্যে।
আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলিকে বাড়ির দাম অবশ্যই কমাতে হবে। না হলে যে বাড়িগুলি বিক্রি না হয়ে পড়ে আছে, সেগুলি আগামী দিনেও কেউ কিনবে না। বাড়ির বাজার চাঙ্গা হলে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুবিধা হবে।
বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তেমন আশার কথা শোনাতে পারেনি আর্থিক সমীক্ষা। তাতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেই ব্যবসায় সংকট চলছে। তার প্রভাব পড়তে পারে ভারতে। এদেশ থেকে রফতানির পরিমাণ কমতে পারে।
গত এক দশকে সবচেয়ে বড় আর্থিক মন্দার কবলে পড়েছে ভারত। জুলাই-সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিকে আর্থিক বিকাশের হার নেমে গিয়েছে ৪.৫ শতাংশে। এর ফলে কমেছে চাকরির সুযোগ।