দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একনাগাড়ে বৃষ্টিতে শহর জলমগ্ন। পাম্প চালানো হলেও জোয়ারের জন্য নিকাশি কার্যত থমকেই। খালগুলি টইটম্বুর। যেকারণে এখনই জলযন্ত্রনা থেকে মুক্তি নেই। এমনটাই দাবি করছে পুরসভা। কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগ সূত্রে খবর, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো আজ, মঙ্গলবারও যদি ফের মুষলধারে বৃষ্টি হয়, তাহলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ।
পুর কর্তাদের দাবি, সোমবার প্রায় সারাদিন পাম্প চালিয়ে জল গঙ্গায় ফেলা হয়েছে। কিন্তু রাত পর্যন্ত কাজ করা যায়নি। কারণ পাম্পের জল ‘ব্যাক ফ্লো’ হচ্ছিল। সেইসঙ্গে জোয়ারের কারণে গঙ্গায় জলস্তরও বাড়তে শুরু করেছে।
সোমবার রাত ১২ টা থেকে আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত নিকাশি পাম্পিং স্টেশন ভিত্তিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।
মানিকতলা ১১৫ মিমি
বীরপাড়া ১৩৫ মিমি
বেলগাছিয়া ১২৯ মিমি
ধাপা লক ১৭০ মিমি
তপসিয়া ১৪৯ মিমি
উল্টোডাঙ্গা ১৩৯ মিমি
পামার বাজার ১২১ মিমি
ঠনঠনিয়া ১২০ মিমি
বালিগঞ্জ ১৪৩ মিমি
মোমিনপুর ১৩১ মিমি
চেতলা লক ১৩১ মিমি
যোধপুর পার্ক ১৪৫ মিমি
কালীঘাট ১৪৭ মিমি
কাম ডহরি ১২৬ মিমি
দত্ত বাগান ১২৯ মিমি
জিনিজিরা বাজার ১০৬ মিমি
বেহালা ফ্লায়িং ক্লাব ১২২ মিমি
এদিনও জলমগ্ন ঢাকুরিয়া, দেশপ্রিয় পার্ক, পার্ক স্ট্রিট, উল্টোডাঙা আন্ডারপাস, পাতিপুকুর আন্ডারপাস, সার্দান অ্যাভিনিউ। কিছু জায়গায় কোমর সমান জল।
টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, তারাতলা, ভবানীপুর, মিন্টো পার্ক, ক্যামাক স্ট্রিট জলমগ্নই রয়েছে। ঠনঠনিয়া, ক্যামাক স্ট্রিট, মিন্টো পার্ক, কলেজ স্ট্রিট, সেক্টর ফাইভ, চিনার পার্কের জল এখনও নামেনি।
শহরে রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে ধাপাতে। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬ পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ১২৭ মিমি। দ্বিতীয় তোপসিয়া। উল্টোডাঙা তৃতীয়।
কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘বহু জায়গা থেকে জল নেমে যাচ্ছে। কিন্তু নতুন করে বৃষ্টি হলে ফের জল জমে যাবে। এত বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি কিছুটা হাতের বাইরে চলে যায়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। আর বৃষ্টি না হলে সমস্যা হবে না।’