দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জলের হাহাকার হবে পৃথিবীতে, বিপদের হাত থেকে রেহাই পাবে না ভারতও। সমগ্র বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষ এই সাংঘাতিক জল সংকটের মধ্যে পরতে চলেছেন মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই, সম্প্রতি এমনই ভয়ঙ্কর সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের এক সমীক্ষার রিপোর্ট। যা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিশেষজ্ঞদের কপালে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আজ থেকে আর মাত্র ২৯ বছরের মধ্যেই অর্থাৎ ২০৫০ সালের মধ্যেই ভয়ানক জলের সংকট দেখা দেবে পৃথিবীতে। ভারত-সহ আরও অনেক দেশ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশ্ব জুড়ে অন্তত ৫০০ কোটি মানুষের বিপদ ডেকে আনবে এই সংকট। তেষ্টায় কাতর হলেও কোথাও জল পাওয়া যাবে না।
ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অরগানাইজেশন জানিয়েছে, ইদানীং পরিবেশের ভাবগতিক যেভাবে বদলে যাচ্ছে তাতে জলের সংকট দেখা দেবে শিগগিরই। যত দিন যাবে আরও বেশি করে মানুষ এর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘দ্য স্টেট অফ ক্লাইমেট সার্ভিস’ শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বিশ্ব জুড়ে অন্তত ৩০৬ কোটি মানুষ একমাসের জল সংকটে ভুগেছেন। ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যাই পৌঁছে যাবে ৫০০ কোটিতে। পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই রিপোর্টে। বলা হয়েছে, আগামী ২৯ বছরের মধ্যে এই জু সংকট এড়াতে চাইলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে প্রয়োজনমতো, আর লাগাতে হবে প্রচুর গাছ।
দিন দিন পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়েই চলেছে, এর ফলে প্রকৃতির আচরণে বদল আসছে। সময়মতো বৃষ্টি হচ্ছে না। কখনও বন্যা, কখনও খরায় ভুগতে হচ্ছে মানুষকে। এতে চাষের কাজেও ক্ষতি হচ্ছে। সংকট দেখা দিচ্ছে খাদ্যের। গত ২০ বছরেও পানীয় জল অনেকটা কমে এসেছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। পৃথিবীর মাত্র ০.৫ শতাংশ জল মানুষের ব্যবহারের যোগ্য।
ডব্লিউএমও-র প্রধান বলেছেন, ‘‘সব রাষ্ট্রনেতাই বলছেন এ বার একটা কিছু করতেই হবে যাতে উষ্ণায়ন আর না বাড়ে। কিন্তু সেই কাজগুলি আজ না করে কাল করব বলে ফেলে রাখলে হবে না। সেরে ফেলতে হবে অবিলম্বে। যে প্রক্রিয়াটাই এখনও অনেক দেশে শুরু হয়নি।’’
ডব্লিউএমও-র সাম্প্রতিক রিপোর্ট আরও জানিয়েছে, খরার তীব্রতা ও মেয়াদও আগের দু’দশকের নিরিখে গত ২০ বছরে বেড়েছে ৩০ শতাংশ। খরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হয়ে চলেছে আফ্রিকার দেশগুলি।