দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিদেশে বসবাসকারী ২০০ ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে দুবাই থেকে উড়ে এসে কলকাতা বিমানবন্দরে নামল এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান! যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই দুবাই থেকেই আসছেন বলে জানা গেছে। তবে ইউরোপের বেশ কিছু দেশ থেকেও কয়েক জন দুবাই পর্যন্ত এসে, ওই ফ্লাইটটিতেই সওয়ার হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বলাই বাহুল্য, ২০০ জন পড়ুয়া ভর্তি ওই বিমান নিয়ে এখন সতর্কতা ও সাবধানতা তুঙ্গে! কারণ ২০০ জনের মধ্যে এক জনের থেকেও যদি সংক্রমণ ছড়ায়, তবে তা মারাত্মক আকার নিতে পারে।
এমনিতেই আজ, রবিবার, কলকাতায় সপ্তম করোনা-রোগী চিহ্নিত হওয়ার পরে আশঙ্কার মাত্রা বেড়েছে অনেকটাই। সামাজিক সতর্কতা নিয়ে সতর্ক করেছেন চিকিৎসকরা। সেই কারণেই এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকির অবকাশ না রেখে বিমানটি নামামাত্র ওই ২০০ জনকেই সোজা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। কোনও পরীক্ষা বা স্ক্রিনিংয়ের জন্য অপেক্ষাই করেনি প্রশাসন। কারণ গত কয়েক দিন ধরে করোনা-রোগী হিসেবে চিহ্নিত হওয়া বেশ কয়েক জনের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, হাসপাতালের স্ক্রিনিংয়ে পাশ করে যাওয়া সত্ত্বেও পরে উপসর্গ দেখা দিয়েছে এবং অসুখও ধরা পড়েছে।
বারবারই অভিযোগের আঙুল উঠেছে, বিদেশ থেকে ফেরার পরেও অনেকেই পর্যাপ্ত সচেতনতার পরিচয় না দেওয়ায়, গৃহবন্দি না থাকায়, তাঁদের থেকে ছড়িয়ে পড়েছে অসুখ। যেমন আজই খবর এসেছে, লন্ডন থেকে কলকাতায় ফেরা করোনা-রোগী বালিগঞ্জের তরুণের মা, বাবা ও পরিচারিকা আক্রান্ত হয়েছেন সংক্রমণে। এবার আর সেই সুযোগই রাখতে চায়নি সরকার। তাই এবার আসা বিমানের পড়ুয়াদের গন্তব্য, বিমানবন্দর থেকে সোজা কোয়ারেন্টাইন।
জানা গেছে, সেখানেই ১৪ দিন রাখা হবে প্রত্যেককে। এই সময়ের মধ্যে কারও কোনও রকম উপসর্গ প্রকাশিত হলে সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করানো হবে তাঁর। আর যদি উপসর্গ না দেখা যায় ১৪ দিনেও, তা হলে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি মিললেও, স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারিতে আরও কয়েক দিন বাড়ির ভিতরেই থাকতে হবে। সামাজিক সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
সূত্রের খবর, বাইরে থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য এটিই ছিল শেষ বিমান। এখন অনির্দিষ্ট কালের জন্য আর কোনও বিমান বাইরের দেশ থেকে এদেশে এসে নামবে না। বিশ্বজোড়া মহামারী যে ভয়াল আকার ধারণ করেছে, তাতে ভারতও যথেষ্ট ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে। ৩০০ জনের ুপর আক্রান্তের খোঁজ ইতিমধ্যেই মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এদেশে স্টেজ থ্রি-তে পৌঁছনোর দোরগোড়ায় করোনাভাইরাস। এই স্টেজটি রুখতে পারাই মহামারীর ঝুঁকি নির্মূল করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।