দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই অশান্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। ফের বিজেপি কর্মী খুন। এবার খোদ সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের বাড়ির এলাকায়। শনিবার সন্ধ্যায় সৈকত ভাওয়াল (৩৫) নামের এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও শাসকদল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক বিজেপি নেতা ডাক্তার ভূপাল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “হালিশহর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের গৃহ সম্পর্ক অভিযান চলছিল। বারেন্দ্র গলি এলাকায় আমরা যখন বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিলাম তখন ১০-১২টি বাইকে তৃণমূল কর্মীরা এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে মারতে শুরু করে। সৈকতকে ফেলে পেটাতে থাকে। চোখের সামনে দেখলাম আমার সন্তানসম একটা জলজ্যান্ত ছেলেকে তৃণমূলের লোকেরা পিটিয়ে মেরে দিল। এ জিনিস মেনে নেওয়া যায় না।”
খবর পেয়ে রক্তাক্ত সৈকতকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন মুকুল রায়ের ছেলে তথা বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। তিনি বলেন, “বদলা নিতে গিয়ে আরএকটা মায়ের কোল খালি করার কথা আমি বলতে পারব না। তবে বদলা হবেই।”
এদিন মারামারির খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। তারপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও বছর ৩৫-এর এক যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিজেপির বক্তব্য, এলাকার মানুষ ফুঁসছে। যারা এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা পরিচিত মুখ। এরপর তাদের উপর জনরোষ আছড়ে পড়লে বিজেপির কিছু করার থাকবে না। নিহত সৈকতের দেহের ময়নাতদন্ত আগামীকাল হবে।
হালিশহরের তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেছেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। তবে এতে রাজনীতির রং লাগানো ঠিক নয়। পুরনো আক্রোশের জেরে খুন হয়েছেন ওই ব্যক্তি। পুলিশ তদন্ত করছে।” এই ঘটনায় গোটা হালিশহরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। ছবি-সংগৃহীত।