দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার ভোট নন্দীগ্রামে। তার আগে মঙ্গলবার কলকাতায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালা।
কয়লা পাচার চক্রের তদন্তে নেমে সিবিআই প্রথম যে এফআইআর দায়ের করেছিল তাতেই অন্যতম পাণ্ডা হিসাবে লালার নাম ছিল। কিন্তু লালা ছিল ফেরার। তার নাগাল পাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। সেই লালা সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ নিয়ে ঘটনাচক্রে ঠিক এমন সময়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে এলো যখন এই নির্বাচনের সব থেকে রোমহর্ষক ভোট গ্রহণের আর ৪৮ ঘন্টা বাকি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ সিবিআই দফতরে পৌঁছয় লালা। সিবিআই দফতর থেকে বেরোয় সন্ধে ৬ টা নাগাদ। জেরার ব্যাপারে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি কেন্দ্রীয় এজেন্সিও। তবে গোয়ন্দা, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক সূত্রে গত কয়েকদিন ধরে খবর, লালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে। কারণ, সিবিআইয়ের হাতে অকাট্য তথ্য প্রমাণ রয়েছে। দুই, বেআইনি কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজসাক্ষীও হয়ে যেতে পারে অনুপ মাঝি ওরফে লালা।
লালার বিরুদ্ধে সিবিআই যে অভিযোগ দায়ের করেছিল, তাতে স্পষ্ট লেখা ছিল এই বেআইনি পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন ব্যক্তি জড়িয়েছিল। যারা এই চক্রকে মদত করেছে। লালাকে জেরা করে সেই সব প্রভাবশালীরই হদিশ করতে চাইছেন সিবিআই গোয়েন্দা।
ইতিমধ্যে বেআইনি কয়লা পাচার চক্র সূত্রে অনেককে জেরা করেছেন সিবিআইয়ের কর্তারা। বেআইনি লেনদেনের ও ব্যাঙ্কে টাকা ট্রান্সফারের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে। সেই সঙ্গে অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকেও জেরা করা হয়েছে। তা ছাড়া সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে দেখা গিয়েছে মেনকার স্বামী অঙ্কুশ অরোরা ও শ্বশুর পবন অরোরাকে।
ভোটের মধ্যে সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, সিবিআইকে রাজনৈতিক শরিক করে নিয়েছে বিজেপি। তবে তাৎপর্যপূর্ণ হল, অন্তত কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তেমন কোনও অভিযোগ করেনি বাম, কংগ্রেসও। বরং তাদেরও বক্তব্য, কান টেনে দ্রুত মাথাকে ধরুক সিবিআই।