দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কলসের আকৃতি। তাই গ্রামের নাম ‘কলসি পাড়া’। পাড়া থেকে বের হওয়ার মুখটাও ঠিক কলসির মুখের মতোই। এখানেই বিএসএফ ক্যাম্প। এ গ্রামের পেছনেই বাংলাদেশ। তবে কোনও কাঁটাতারের বেড়া নেই। নেই কোনও চেক পয়েন্টও। গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বিএসএফ এর আটটি গেটে চেকিং করিয়েই গ্রাম থেকে বের হন ৪৯৬ টি পরিবারের ২৭০৬ জন বাসিন্দা।
করোনা রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হতেই মেখলিগঞ্জ মহকুমার তিনবিঘা করিডর ঘেঁষা এই গ্রাম অবরুদ্ধ করে দিয়েছে বিএসএফ। কলসি গ্রাম থেকে বের হওয়ার গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দোকান বাজারেও যেতে পারছেন না মানুষ। এই গ্রামে কোনও দোকান-বাজারই নেই। ৪৯৬ টি পরিবারের ২৭০৬ জন বাসিন্দার কেউ এখনও রেশন পাননি বলে অভিযোগ। তাই বেজায় মুশকিলে পড়ে গেছে গোটা গ্রাম।
এই খবর পেয়ে সোমবার দুপুরে সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে কথা বলেন তাঁরা। গ্রামে আটকে পড়া মানুষদের দু’বেলার খাবারের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা দেখার জন্য অনুরোধ করেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবশ্যই নিতে হবে। কিন্তু মানুষের সুবিধা-অসুবিধাও তো দেখতে হবে। এই গ্রামে কোনও বাজার নেই। কোনও দোকান নেই। বিএসএফ কে অনুরোধ করেছি দোকান-বাজার, ব্যাঙ্কে যাওয়ার জন্য অন্তত ৫০ জন করে মানুষকে ভাগে ভাগে ছাড়ুন। না হলে তো ওঁরা মারা যাবেন।’’ আদিবাসী ও অনাগ্রসর কল্যাণ মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ‘‘এসডিওর সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত এই গ্রামে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চাল–ডাল ও অন্যান্য সামগ্রী পাঠানো শুরু হবে ।’’
মন্ত্রীরা পরিদর্শনে যাওয়ায় খানিকটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে কলসিপাড়ায়। কিন্তু তুফানগঞ্জের চর বালাভুত এবং দিনহাটার জরিধরলা-দরিবসের বাসিন্দারা কিন্তু এখনও একইরকম সঙ্কটে।