দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ ৯ দিন পর পুলিশের জালে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক খুনে মূল অভিযুক্ত। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে আজ ভোরে অভিজিৎ পুন্ডারিকে পাকড়াও করেন গোয়েন্দারা। তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন সন্ধেবেলা নিজের বিধানসভা এলাকার ফুলবাড়িতে একটি পুজোমণ্ডপে তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে (৪০) পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ওই দিন হাঁসখালি ব্লকের বগুলার ফুলবাড়ি এলাকায় বড় বাজেটের একটি সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন করতে গেছিলেন তিনি। অনুষ্ঠান চলাকালীনই তাঁর উপর হামলা করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কী কারণে, কারা বিধায়ককে লক্ষ্য করে গুলি চালালো, তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি।
অবশেষে আজ সকালে ডেবরায় রাধামোহনপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
অভিজিতের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করেই তার হদিশ মেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিন রাধামোহনপুর স্টেশন এলাকায় বাড়ি ভাড়া খুঁজছিল সে। তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বিধায়ক খুনের মোটিভ পরিষ্কার হবে বলে জেলা পুলিশকর্তাদের দাবি।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নাম সুজিত মণ্ডল, কার্তিক মণ্ডল, কালীপদ মণ্ডল ও নির্মল ঘোষ। তবে অভিজিৎই সে দিন বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল বলে পুলিশের অভিযোগ। নদিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল বিধায়ক হত্যার অন্যতম এই অভিযুক্ত অভিজিৎ পুন্ডারিক৷