দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দুর্গাপুজো নিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি অব্যাহত। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তাই এবার বিজেপি আরও একটু বেশি পুজোর সঙ্গে জুড়তে চায়। তৃণমূল এক খণ্ড জমি ছাড়তেও নারাজ। গতবার তবু সল্টলেকের একটি পুজোয় উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল ঢের।
তাই এবার সেই সুযোগও আর থাকছে না।
অগত্যা বিজেপির মহিলা মোর্চা এবং সাংস্কৃতিক শাখা ইজেডসিসি নিজেরাই দুর্গাপুজোর আয়োজন করছে। তাতে ২২ অক্টোবর, ষষ্ঠীর দিন ভার্চুয়াল–যোগদান করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী। নিজের বক্তব্য রাখবেন বাংলার জনতার সামনে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেদিনই আসলে বাংলায় প্রচারের সূচনা করছে বিজেপি।
ওই অনুষ্ঠানে বিজেপি–র মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র চণ্ডীপাঠ করবেন বলেও শোনা গেছিল। সূত্রের খবর, পাত্র চণ্ডীপাঠ করলে ‘বহিরাগত’ জানিয়ে বিরোধীরা সমালোচনা করতে পারে। তাই সেই সুযোগ দিতে চাইছে না বিজেপি নেতা। স্থানীয় পুরোহিত দিয়েই করানো হবে চণ্ডীপাঠ। মোদী যেখান থেকে বক্তব্য রাখবেন, সেখানেও পুজোর আমেজ রেখে সাজানো হবে।
একদিকে বিজেপি–র মহিলা মোর্চা নিজেরাই পুজো করছে। কারণ অবশ্যই হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক। অন্যদিকে আবার মুখ্যমন্ত্রীর পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে সমালোচনাও করছেন। এভাবেই সাঁড়াশি আক্রমণের মাধ্যমে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করতে চাইছে বাংলার এই মুহূর্তে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি৷