শুভেন্দুর পর এ বার তৃণমূলের নতুন ‘অস্বস্তি’ হয়ে উঠলেন মন্ত্রী রাজীবও! কেন? জানুন

0
1361

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু-পর্বের মধ্যেই তৃণমূলের নতুন ‘অস্বস্তি’ হয়ে উঠলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর পর এ বার তৃণমূলের তরুণ নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফোঁস করতে শুরু করলেন ।


পুজোর পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে অরাজনৈতিক সভা করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুখ খুলেছেন একটি অরাজনৈতিক মঞ্চে। শনিবার সেখানে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজীব বলেছেন, “আমি ঠাণ্ডা ঘরে বসে থাকার কর্মী নই। দক্ষতা এবং যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করতে চাই।… যেখানে মানুষ মনের কথা বলতে পারে, সেখানেই থাকব।”


স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠেছে, রাজীব কি দল ছাড়বেন? এ প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর দেননি তিনি। তবে বনমন্ত্রী বলেছেন, “এখনও আমি তৃণমূলের সদস্য, মন্ত্রিসভাতেও রয়েছি। দলের কথা দলের কাছেই বলব। দেখুন ধীরে ধীরে কী হয়।”

রাজ্য মন্ত্রিসভায় আগে সেচমন্ত্রী ছিলেন রাজীব। পঞ্চায়েত ভোটের পর মন্ত্রিসভায় তাঁকে সেচ দফতর থেকে সরিয়ে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ মন্ত্রী করা হয়। সম্প্রতি তাঁকে বন দফতরে পাঠানো হয়েছে।


রাজীবকে বন দফতরে পাঠানোর পর পরই একটা কথা ছড়িয়েছিল যে রাজীব মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। একটি সূত্রের দাবি, সে কথা তিনি দলের উপরের সারির কয়েকজনকে বলেছিলেন। তবে তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত রাখা হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে সাংগঠনিক কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ডোমুজুড়ের বিধায়কের কথায়, “অনেকেই এখন ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে। নিজের ভালর জন্য রাজনীতি করে। আর যখন কেউ ভালো কাজ করতে যায়, তাঁকে পিছন থেকে টেনে ধরা হয়। এখন স্তাবকতার যুগ, হ্যাঁ-তে হ্যাঁ মেলাতে হয়। এ ভাবেই রাজনীতিতে শূন্যতা তৈরি হচ্ছে। সময় এলে মানুষ সব টের পাইয়ে দেবে”।


সেই সঙ্গেই অর্থবহ ভাবে বলেন, আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। কিন্তু ব্যক্তিগত উদ্যোগে খুব বেশি সংখ্যক মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করা যায় না। সে জন্য রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের দরকার হয়। আমি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে থেকেই কাজ করতে চাই।


রাজীবের এ সব কথায় দলের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বলে অনেকেই ঘরোয়া আলোচনায় জানাচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এদিন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “রাজীব মন্ত্রী হিসাবে ভাল কাজ করছেন। ও ভালো ছেলে। আমাদের ছোট ভাইয়ের মতো”। ববি হাকিমের কথায়, “বড় সংসারে থাকতে গেলে অনেক সময় মান অভিমান হতেই পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আছেন মাথার উপর তখন চিন্তার কোনও কারণ নেই। তিনি সব দেখছেন, তিনি সবার জন্য ভালো করবেন”।

Previous articleআশোকনগরের এক তৃণমূল নেতাকে হাতেনাতে ধরে পোস্টে বাঁধল স্থানীয়রা, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আবাস যোজনায় কাটমানি নিচ্ছিলেন তিনি
Next articleনমনীয় কেন্দ্র তবু বরফ গলল না শনিবারও, কৃষকদের সঙ্গে সরকারের ফের বৈঠক বুধবার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here