দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে গত কয়েক দিন ধরে শুভেন্দুকে নিয়ে চর্চা চলছে। তাঁর মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা তৈরি হয়েছে, তিনি কি দল ছাড়তে চান? শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলে তাঁকে স্বাগত জানাবে দল। এমনই জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়।
এদিন এ ব্যাপারে কলকাতায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কারও নাম না করে দিলীপ ঘোষ জানান, ওঁরা তার মানে শুভেন্দুকে বিজেপিতে পাঠিয়েই দেবেন? তাঁরা তো দরজা বড় করে রেখেছেন সবাইকে নেওয়ার জন্য। ওঁরা যদি কাউকে পাঠিয়ে দেন, কোনও রাজনীতিবিদ যদি রাজনীতি করতে চান, বিজেপি সুযোগ দেবে। তবে তাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর এ ব্যাপারে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানিয়ে দেন দিলীপবাবু।
অন্যদিকে, এদিন বাঁকুড়ায় মুকুল রায়কে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘বিজেপি হল পৃথিবীর বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। আমিও তৃণমূলে ছিলাম। প্রায় চার বছর হল বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। দল সম্মান দিয়েছে, কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। এই মুহূর্তে আমি দলের সহ-সভাপতি।’ এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন মুকুল রায়। বলেন, ‘যাঁরা মানুষের উপকার করতে চান, প্রত্যেককেই স্বাগত।’
তিনি বাংলার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির সমালোচনা করেন। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় আইনের শাসন নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে’। ৫ নভেম্বর বাঁকুড়া সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সফরের আগে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে জেলা শহরে এসে পৌঁছন মুকুল রায়। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা এভাবে কিছুই বলতে পারি না। বিষয়টি মানুষ ঠিক করবেন। তবে বিজেপি মনে করে রাজ্যে আইনের শাসন নেই।
এর আগেও শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুভেন্দুকে মন্ত্রী করেছিলেন। দিন কয়েক আগে শুভেন্দু মন্তব্য করেছিলেন, কাজ করতে কোনও পদ লাগে না। রাজনৈতিক জীবনে প্যারাসুটে নামেননি, লিফ্টে ওঠেননি।