ভিডিও দেখুন : আসানসোলে নির্বাচনী জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
Public meeting at Asansol | আসানসোলে জনসভা
Public meeting at Asansol | আসানসোলে জনসভা
Zveřejnil(a) Mamata Banerjee dne Pátek 26. dubna 2019
দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ রানিগঞ্জের জনসভা থেকে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার আসানসোল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনের সমর্থনে জনসভা থেকে মমতা বলেন, “আমায় কর্নেল বলছিল, এখানকার এমপি নাকি আমাকে কুত্তা বলেছে।” এর পরেই বাবুলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, “আরে আমি যদি কুত্তা, বিল্লি হই তুমি কে হনু? কোন হরিদাস?”
জনসভার শুরু থেকেই এ দিন আক্রমণাত্মক ছিলেন মমতা। জনতার উদ্দেশে আবেদন জানিয়ে মমতা বলেন, “এই ছেলেটাকে আসানসোল থেকে হারাতে হবে। এ সবাইকে গালি দেয়।” বক্তৃতার একেবারে শেষ পর্বে এসে দিদি বলেন, “এখানকার যে এমপি আছে, ওটাকে বিদায় দিন। সারাক্ষণ নাটক করে। বাংলার কিচ্ছু বোঝে না। বাংলার সঙ্গে ওর কোনও সম্পর্ক নেই।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে বাবুলের প্রতিক্রিয়া নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলেই তা এই প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।
মুনমুন সেনকে বাঁকুড়া থেকে এনে আসানসোলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করার পরই স্বভাসিদ্ধ ঢঙে টুইট করেছিলেন বাবুল। সেই টুইটে বাবুল লিখেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর জন্য সব সময় সেন-সেশনাল উপহার পাঠান। গতবার বাবুলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন দোলা সেন। এ বার মুনমুন সেন। কিন্তু বাবুলের এই ‘রসিকতাকে’ মোটেও ভাল ভাবে নেননি দিদি। প্রার্থী ঘোষণার দু’দিন পর প্রার্থী পরিচিতির সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীএ বলেছিলেন, “ও একটা আনকালচারড। কার সঙ্গে কী ভাবে কথা বলতে হয় জানে না।”
বাবুল সম্পর্কে মমতা বলেন, “কোন লেভেলে কথা বলতে হয় জানে। ও আমার নখের যোগ্য নয়। আমি অনেক ছোট থেকে রাজনীতি করি।” বিজেপি-র বিরুদ্ধে ধর্মীয় জিগির তুলে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, “বরাকর, কুলটি, রানিগঞ্জের উপর অনেক অত্যচার করেছ। তবে আর নয়।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক এতটা তিক্ত ছিল না। কয়েক বছর আগেও দেখা গিয়েছিল দিদির গাড়িতে চেপে বাবুল ঝালমুড়ি খাচ্ছেন। গায়ক সাংসদ নিজেপি জানিয়েছিলেন, সেই ঝালমুড়ির দামও দিদি তাঁকে দিতে দেননি। নিজেই দিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে তত বাবুল যেমন মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন, উল্টোদিকে মমতাও ঠিক ততটাই। এ দিন যা একেবারে চরমে পৌঁছে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।