লাল আলোয় দাঁড়ায়নি ট্রেন!  ছত্তীসগড়ে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ মালগাড়ির! ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত ১০, এখনও আটকে বহু যাত্রী

0
5

ফিরল বালেশ্বরের ট্রেন দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি। ২০২৩ সালের ওই রেল দুর্ঘটনার মতোই বুধবার ছত্তিসগড়ের বিলাসপুরে একটি দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িতে ধাক্কা মেরেছে একটি যাত্রিবাহী ট্রেন। তা হলে কি তিন বছর আগের সেই দুর্ঘটনা থেকে কোনও শিক্ষাই গ্রহণ করা হয়নি? কেন ফের একই ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? এখনও রেলের পক্ষ থেকে কোনও স্পষ্ট জবাব দেওয়া হয়নি। তবে সূত্রের খবর, সংকেত অর্থাৎ সিগনালে লাল আলো থাকা সত্ত্বেও পাসেঞ্জার ট্রেনটি এগিয়ে গিয়েছিলেন লোকো পাইলট। এর পরেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ছত্তীসগড়ের বিলাসপুরে। মঙ্গলবার জয়রামনগর স্টেশনের কাছে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে একটি মালগাড়ির সংঘর্ষ হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। আহতের সংখ্যাও একাধিক। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চলছে, আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে বিলাসপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কী কারণে দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

সাম্প্রতিককালে ভারতে একের পর এক রেল দুর্ঘটনা যাত্রীদের নিরাপত্তা ঘিরে প্রশ্ন তৈরি করছে।
গত বছর অক্টোবর মাসে মহীশূর-দ্বারভাঙা বাগমতি এক্সপ্রেসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মালগাড়ির। একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসে, দুর্ঘটনার জেরে ৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুটি কামরায় আগুন লেগে যায়। বশ কয়েকজন গুরুতর আহত হলেও কোনও প্রাণহানি হয়নি। 

গত বছর জুনমাসে উত্তরবঙ্গের কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। জানা গিয়েছিল, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে এগোতেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে এসে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। সংঘর্ষের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে ট্রেনের কয়েকটি কামরা মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপরে উঠে যায়। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু যাত্রী। 

গত বছর জুনমাসে উত্তরবঙ্গের কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। জানা গিয়েছিল, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে এগোতেই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে এসে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। সংঘর্ষের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে ট্রেনের কয়েকটি কামরা মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপরে উঠে যায়। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু যাত্রী। 

তার ঠিক এক বছর আগেই বালেশ্বরে ঘটেছিল আরও এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ২০২৩ সালের ২ জুন সন্ধ্যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেস, মালগাড়ির সংঘর্ষে লাইনচ্যুত হয় একাধিক বগি। এই দুর্ঘটনায় কার্যত মৃত্যুমিছিল দেখেছিল দেশ। 

দুর্ঘটনার পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের জন্য এক্স গ্রাসিয়াও ঘোষণা করা হয়েছে। নিহতদের নিকটাত্মীয়দের ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকা করে। আর যাদের আঘাত কম, তাদের ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।


পাশাপাশি রেলের পক্ষ থেকে যাত্রী এবং তাঁদের পরিবারবর্গের সুবিধার্থে, বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বর জারি করা হয়েছে। নম্বরগুলি হলো— বিলাসপুর: ৭৭৭৭৮৫৭৩৩৫, ৭৮৬৯৯৫৩৩৩০, চম্পা: ৮০৮৫৯৫৬৫২৮, রায়গড়: ৯৭৫২৪৮৫৬০০, পেন্দ্রা রোড: ৮২৯৪৭৩০১৬২, কোরবা: ৭৮৬৯৯৫৩৩৩০, উসলাপুর: ৭৭৭৭৮৫৭৩৩৮।

দুর্ঘটনাস্থলে রেলের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে রেলের মেডিক্যাল টিম। আঘাত যাদের কম, তাদের ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে পাঠানো হচ্ছে নিকটবর্তী হাসপাতালগুলিতে।

তবে এখনও দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া কামরাগুলির মধ্যে বহু যাত্রী আটকে আছেন। গ্যাসকাটার দিয়ে ধাতব অংশগুলি কেটে তাঁদের উদ্ধার করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তারাও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রী এবং তাঁদের পরিবারবর্গকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Previous articleSIR এর প্রতিবাদে সংবিধান হাতে পথে মমতা ,পা মেলালেন অভিষেকও , ‘যত বড় নেতা হও টিভিতে মুখ দেখাতে কেউ সামনে আসবে না’…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here