ইন্দ্রজিৎ রায় দেশের সময়
শান্তিনিকেতন
লকডাউনে এবার কড়া ভূমিকায় দেখা গেল বোলপুর পুলিশকে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে আসছেন বীরভূম জেলার পুলিশ। কিন্তু কিছু মানুষ সরকারি নির্দেশিকাকে তোয়াক্কা না করে বারবার বাজার ও ওষুধ কেনার বাহানায় বাইরে বের হচ্ছেন। পুলিশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাতে ব্যাগ ও পকেটে ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন রেখে দিবি খোশমেজাজে বাইরে ঘুরছেন অনেক মানুষ। বারবার বলেও সচেতন না হওয়ায় মঙ্গলবার একাধিক কড়া পদক্ষেপ নিলেন বোলপুর শান্তিনিকেতন ও থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারিতে ছিলেন অ্যাডিশনাল এসপি শিবপ্রসাদ পাত্র, মহকুমার শাসক অভ্র অধিকারী, এসডিপিও অভিষেক রায়, বোলপুর থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস সহ শান্তিনিকেতনের ওসি কস্তুরী মুখোপাধ্যায়।
এদিন পুলিশ প্রশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হয় এরপর থেকে একটি গাড়ি সপ্তাহে দুইবারের বেশি বাইরে বেরোতে পারবে না, তার জন্য লাগিয়ে দেওয়া হবে স্টিকার এবং সেই গাড়ির নাম্বার, মালিকের নাম নথিভুক্ত করা থাকবে পুলিশের খাতায়। কেউ স্টিকার ছিঁড়লে বা আইন অমান্য করলে গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা সহ সেই গাড়ি মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ – বলে জানান অ্যাডিশনাল এসপি শিবপ্রসাদ পাত্র।
জেলা পুলিশের তথ্য সূত্রে জানা গেছে লকডাউন চলাকালীন সরকারি নির্দেশ অমান্য করে যে সকল মানুষ প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি/টোটো/মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মোট ৯৯ জনকে গ্রেফতার এবং ১১৪ টি বাইক,টোটো,ছোট গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গোটা জেলা জুড়ে।