রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে মমতাকে বিধায়ক করল নন্দীগ্রাম

0
887

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ টানটান উত্তেজনা। সুপার ওভার ঘিরে উত্তেজনা চরমে উঠেছিল নন্দীগ্রামে। ১২০০ ভোটে হারালেন প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারীকে। হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে টানটান লড়াইয়ের সাক্ষী রইল বাংলা। দিনভর চলল ওঠা-নামার খেলা। ব্যবধান কমা-বাড়া নিয়ে পারদ ক্রমশই চড়ছিল। এ শুধু ভোট নয়, একেবারে রোমহর্ষক লড়াই। নন্দীগ্রামে সেই হাইভোল্টেজ নির্বাচনে শেষমেশ জিতলেন দিদিই।
শুভেন্দু অধিকারীকে ১২০০ ভোটে পরাস্ত করে শেষ মুহূর্তের কাউন্টিংয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে জয়ে হাসি হাসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সকাল থেকে ছবিটা ছিল অন্যরকম। একের পর এক রাউন্ডের গণনা হচ্ছে, দেখা যাচ্ছিল শুভেন্দু এগিয়ে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু। একটা সময় মমতার থেকে সাত হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু।কিন্তু কালীঘাটের বাড়িতে বসে ঘনিষ্ঠ মহলে নির্মিপ্ত মমতা বলেছিলেন, ওটা প্রথম দিকের ফল। শেষ গণনা শেষ হলে আমিই জিতব। দুপুর বেলার পর থেকেই খেলা যেন ঘুরতে শুরু করে। ফাইনাল হুইসেল বাজার পর দেখা গেল রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর মমতাকে বিধায়ক করল নন্দীগ্রাম।

জেলা সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগণনার জন্য মোট ৬টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে হলদিয়ার গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড হাইস্কুলে গণনা চলছে নন্দীগ্রাম, মহিষাদল এবং হলদিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের। অপেক্ষায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাউন্টিং এজেন্টরা। পুলিশ তৎপরতায় সমস্ত কিছু চেকআপের পরে নিরাপত্তার সঙ্গে কাউন্টিং সেন্টারে প্রবেশ করানো হয়। অতিরিক্ত নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এই গণনাকেন্দ্র।

সেই জানুয়ারি মাস থেকেই বাংলার ভোটের এপিসেন্টার হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম। ১৮ জানুয়ারি তেখালির মাঠে দিদি জনসভা করতে গিয়ে বলেছিলেন, “আমি যদি এবার একটু নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়!” উল্লাসে ফেটে পড়েছিল মাঠ।
সেই বিকেলে মমতার বাড়ির কার্যত দোরগোড়ায় রোড শো শেষ করে বক্তৃতা করতে উঠে শুভেন্দু বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাব। আমি দাঁড়াই আর যেই দাঁড়ান।

বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে দেখা যায় শুভেন্দুকেই হলদি নদীর তীরে প্রার্থী করেছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা।কিন্তু একটা জল্পনা ছিল, দিদি আর দ্বিতীয় কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন কিনা। এমনকি প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় হেঁয়ালি করে মমতা বলেছিলেন, আমি টালিগঞ্জেও দাঁড়াতে পারি। কিন্তু মমতাকে চাপে ফেলার কৌশল নেয় গেরুয়া শিবির। নেতাদের গণটুইট আছড়ে পড়ে। সকলেই বলেন, মমতাকে একটা কেন্দ্রেই দাঁড়াতে হবে। দেখা যায় দিদি একটি কেন্দ্র থেকেই লড়ছেন একুশের ভোটে। আর সেই কেন্দ্র থেকেই জিতলেন। জিতেই ছাড়লেন।

Previous articleবনগাঁ মহকুমার চার কেন্দ্রেই এই মুহুর্তে এগিয়ে বিজেপি
Next articleনন্দীগ্রামে নাটকীয় পরিবর্তন, পুনর্গণনায় মমতাকে হারিয়ে জিতে গেলেন শুভেন্দু

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here