দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ চারটি সরকারি হাসপাতালকেই গড়ে তোলা হবে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে। পরিকাঠামো, চিকিৎসা পরিষেবাতেও প্রয়োজনীয় বদল হবে খুব তাড়াতাড়ি। উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে এমনই চারটি কোভিড হাসপাতাল গড়ে তোলার ঘোষণা করলেন টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান রতন টাটা।
করোনা মোকাবিলায় ৫০০ কোটি অর্থসাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন রতন টাটা। বলেছিলেন, আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা, চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় এই টাকা খরচ করা হবে। বৃহস্পতিবার টাটা গ্রুপের তরফ থেকে ফের ঘোষণা করা হল, কোভিড রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য চারটি সরকারি হাসপাতালকেই কোভিড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ড, আধুনিক ভেন্টিলেটর সিস্টেম ও করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য অন্যান্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সুরক্ষার সবরকম সরঞ্জাম পর্যাপ্ত পরিমাণেই থাকবে। আগামী ১৫ জুন থেকে হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা দেওয়া শুরু হবে।
রতন টাটা বলেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে কোভিড-১৯ আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় সঙ্কট। দেশের প্রয়োজনে টাটা ট্রাস্ট এবং টাটা গ্রুপ অব কোম্পানিজ আগেও এগিয়ে এসেছে। তবে এই মুহুর্তে প্রয়োজনটা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।’’
মহারাষ্ট্রের সাংলিতে ৫০ বেডের এবং বুলধানাতে ১০৬ বেডের দুটি কোভিড হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের দুটি কোভিড হাসপাতাল হবে গৌতম বুদ্ধ নগর ও গোন্ডাতে। গৌতম বুদ্ধ নগরের হাসপাতালটিতে থাকবে ১৬৮ টি আইসোলেশন বেড এবং গোন্ডার হাসপাতালে থাকবে ১০৬টি আইসোলেশন বেড। প্রতিটি হাসপাতালেই থাকবে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট, অপারেশন সেন্টার, প্যাথোলজি ও রেডিওলজির সুবিধা। থাকবে ডায়ালিসিসের সুবিধাও। সামনে থেকে আক্রান্তদের সেবা করছেন যে স্বাস্থ্যকর্মীরা, তাঁদের নিরাপত্তার সরঞ্জামের ব্যবস্থা থাকবে।
কোভিড মোকাবিলায় পিপিই, টেস্ট কিট, মাস্ক-সহ অন্যান্য চিকিৎসার সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করছে টাটা সন্স। প্রধানমন্ত্রীর করোনা তহবিলে টাটা সন্স দিয়েছে হাজার কোটি টাকা। টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন বলেছেন, তাঁরা টাটা ট্রাস্টের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবেন। আপাতত তাঁরা বিদেশ থেকে ভেন্টিলেটর আনতে চান। পরে যাতে এদেশেই ভেন্টিলেটর তৈরি করা যায়, তারও চেষ্টা করবেন।