যতদিন না করোনার ভ্যাকসিন আসছে ততদিন সতর্ক থাকুন, দেশবাসীর উদ্দেশে বললেন প্রধানমন্ত্রী

0
438

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জব তক দাওয়াই নেহি, তব তক ঢিলাই নেহি। শনিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশবাসীর কাছে এমনই আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলতে চেয়েছেন, যতদিন না করোনার প্রতিষেধক আসে, ততদিন সতর্কতায় ঢিলে দেবেন না। এদিন ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে মধ্যপ্রদেশে জনসভা করেন মোদী। সেখানেই তিনি মাস্ক ও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং-এর গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন।

মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার বাড়ি তৈরি হয়েছে। এদিন সেই বাড়িগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাপকদের দেওয়া হয়। সেই উপলক্ষে ভারচুয়াল জনসভা হয়।

শনিবার সকালে সরকার জানায়, গত ২৪ ঘণ্টা ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭,৫৭০ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১২০১ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮১,৫৩৩ জন। ভারতে এখন সুস্থতার হার ৭৭.৭৭ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১.৬৬ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুসারে ভারতে শনিবার ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬,৫৯,৯৮৪। কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৭৭,৪৭২ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৬,২৪,১৯৬ জন। ভারতে এখন অ্যাকটিভ কেস ৯,৫৮,৩১৬।

ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এখানে সংক্রমণে প্রভাব সবচেয়ে বেশি। পুনে এবং থানেতে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। মারাঠা প্রদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯,৯০,৭৯৫ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২৮,২৮২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭,০০,৭১৫ জন। মহারাষ্ট্রে এখন অ্যাকটিভ কেস ২,৬১,৭৯৮।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৩৭,৬৮৭। কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৭০২ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪,৩৫,৬৪৭ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে অ্যাকটিভ কেস ৯৭,৩৩৮।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৮৬,০৫২। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৮১৫৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪,২৯,৪১৬ জন। তামিলনাড়ুতে অ্যাকটিভ কেস ৪৮,৪৮২।

চতুর্থ স্থানে রয়েছে কর্নাটক। এখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৩০,৯৪৭ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬৯৩৭ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৩,২২,৪৫৪ জন। কর্নাটকে অ্যাকটিভ কেস ১,০১,৫৫৬।

পঞ্চম স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৯২,০২৯। কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪২০৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ২,২১,৫০৬ জন। উত্তরপ্রদেশে অ্যাকটিভ কেস ৬৬,৩১৭।

ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে রাজধানী শহর দিল্লি। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,০৫,৪৮২। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪৬৬৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১,৭৫,৪০০ জন। দিল্লিতে অ্যাকটিভ কেস ২৫,৪১৬।

Previous article‘দুর্গা মাস্ক’এবার পুজোয় নতুন ফ্যাশন : জানাচ্ছেন ফ্যাশন ডিজাইনার পিয়ারী
Next articleদেশের সময় ই পেপার/desher samay e paper

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here