দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার এক কোটি বিজেপি সমর্থকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করতে চলেছেন মোদী। দেশের ১৫ হাজার এলাকা থেকে গৈরিক ব্রিগেডের কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। বিজেপি দাবি করেছে, এদিন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও কনফারেন্স হতে চলেছে।
ভিডিও কনফারেন্সের নাম ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’। বিষয়টি নিয়ে মোদীর সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেছে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি। কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেন, এই মুহূর্তে আমরা সংকটের মধ্যে রয়েছি। আমরা চাই, বন্দি পাইলট ফিরে আসুন। তাঁকে নিয়ে সকলেই উদ্বিগ্ন। আর মোদী উদ্বিগ্ন ভোট নিয়ে। তিনি দলের বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করছেন।
বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, সীমান্তে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে, ভারতের এক পাইলট পাকিস্তানের হাতে বন্দি, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভোটের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত ৷
আপের নেতা সঞ্জয় সিং এদিন মোদীর সমালোচনা করে টুইট করেন। তাতে বলেন, বিরোধীরা সকলেই দেশের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লিকে পূর্ণ মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে অনশনে বসবেন বলে স্থির করেছিলেন। কিন্তু তিনি এই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সেই কর্মসূচি স্থগিত রেখেছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীজি নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত।
এদিন মোদীর ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সময় বিজেপি কর্মীরা নরেন্দ্র মোদী অ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্ন করতে পারবেন। এই কথোপকথন বিজেপি পরিচালিত সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাবে। বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ রবিবারই টুইট করে জানিয়েছেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ১ কোটি বিজেপি কার্যকর্তা, স্বেচ্ছাসেবক ও শুভার্থীর সঙ্গে কথা বলবেন।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। বুধবার পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে বৈঠক করে ২১ টি বিরোধী দল। তাদের অভিযোগ, শাসক দল সশস্ত্র বাহিনীর আত্মত্যাগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।
বিজেপি নেতারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য প্রবীণ নেতা যদি এখন নিজেদের অনুষ্ঠানসূচি পরিবর্তন করেন তাহলে সন্ত্রাসবাদীদের ষড়যন্ত্রই সফল হবে। তারা চাইছে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হোক।
বিজেপি আশা করে প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের প্রতি মানুষের সমর্থন বৃদ্ধি পাবে। কর্মীরাও আরো বেশি মনোবল পাবেন৷