দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বৃষ্টির ভ্রুকূটি সরিয়ে ফের রোদ ঝলমলে আকাশ পাবে বঙ্গবাসী। সোমবার থেকে আগামী পাঁচ দিন বাঙালির শীতযাপনে বাধ সাধবে না বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আপাতত বৃষ্টি কোনও পূর্বাভাস নেই। পাশাপাশি, আগামী দু’তিন দিন হালকা হলেও তাপমাত্রা কমবে রাজ্যে। ফলে এ বছরের মতো শীতকে বিদায় দেওয়ার আগে চেটেপুটে উপভোগ করতে চায় শীতপ্রেমী বাঙালি।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৫.৪। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। বাতাসে সর্বাধিক জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৯৭ শতাংশ। আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও, এরপর থেকে মোটামুটি শীত কমতে শুরু করবে রাজ্যে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, গত ১০ বছরের মধ্যেই এই প্রথম ফেব্রুয়ারিতে এত লম্বা স্পেলের শীত উপভোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গবাসী।.
এদিকে, গত শনিবার রাত থেকে রবিবার সকালের মধ্যে কলকাতা এবং তার আশপাশের অঞ্চলে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টিপাত হয়। সঙ্গে চলে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও হুগলিতে দু’দিন ধরেই বৃষ্টি হয়। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বৃষ্টি হয় উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতেও। কলকাতার নিউ টাউন অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি হওয়ার খবর রয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১.০ মিলিমিটার। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর ছত্তিশগড়ের উপর একটি ঘূর্ণাবর্তের জেরেই কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় এই বৃষ্টিপাত হয়েছে।
অন্যদিকে, মৌসম বিভাগের জারি করা পূর্বাভাস অনুযায়ি বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিবঙ্গ, সিকিম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, অসম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশে বজ্র বিদ্যুতের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হবে। ছত্তিশগড়েও একই ছবি। এছাড়া দেশের অন্য অংশে এদিন আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এই মুহূর্তে প্রায় সরেই গিয়েছে। তবুও জম্মু-কাশ্মীর , লাদাখ ,গিলগিট, বালিস্তান, মুজফফারাবাদ ও হিমাচল প্রদেশের কিছু অংশে তুষারপাতের সম্ভাবনা জারি রয়েছে।