দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ৯ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হবে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। এবার কী ভাবে সেই কাজ হবে তার পরিকল্পনার ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হল। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ১৩ দেশে ১৪৮০০ ভারতীয় আটকে রয়েছেন। তাঁদের বিমান ও জাহাজে করে ফিরিয়ে আনা হবে দেশে। স্বাধীনতার পরে এটাই হতে চলেছে ভারতের সবথেকে বড় দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া।
কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই ১৩টি দেশ থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হবে ৬৪টি বিমানে। সেইসঙ্গে ভারতীয় নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে করেও ফিরিয়ে আনা হবে তাঁদের। পুরো প্রক্রিয়ার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
৭ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ১০টি বিমানে করে ২৩০০ ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হবে বলেই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ভারত থেকে আমেরিকা, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ব্রিটেন, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, বাহরিন ও কুয়েতে বিমান পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
৮ মে ন’টি দেশ থেকে চেন্নাই, কোচি, মুম্বই, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু ও দিল্লিতে প্রায় ২০৫০ ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানানো হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, তৃতীয় দিনেও একই সংখ্যক ভারতীয়র ফিরে আসার কথা। মধ্য প্রাচ্য, ইউরোপ, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া ও আমেরিকা থেকে মুম্বই, কোচি, লখনউ এবং দিল্লিতে এসে পৌঁছবেন নাগরিকরা।
এই পরিকল্পনার চতুর্থ দিনে সরকারের তরফে ১৮৫০ ভারতীয়কে আমেরিকা, ব্রিটেন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-সহ আট দেশ থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।
অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি বিমানে করে ২০০ থেকে ৩০০ যাত্রীকে ফিরিয়ে আনা হবে। বিমানের মধ্যে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখাতে হবে। বিমানে ওঠার আগে যাত্রীদের জানাতে হবে তাঁদের জ্বর, কাশি, ডায়াবেটিস ও অন্য শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা আছে কিনা। প্রত্যেকের মেডিক্যাল স্ক্রিনিং করে নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। শুধুমাত্র যাঁদের উপসর্গ নেই, তাঁদেরই বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হবে।
এই কাজে তিনটি জাহাজকেও ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। ভারতীয় নৌবাহিনীর আইএনএস জলস্ব ১০০০ ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনবে। বিশাখাপত্তনমে থাকা এই জাহাজ আরব সাগর দিয়ে ইতিমধ্যেই যাত্রা শুরু করেছে।
আইএনএস শার্দুল ও আইএনএস মগর-এ করেও ফিরিয়ে আনা হবে ভারতীয়দের। প্রতিবার যাত্রায় ৩০০-র বেশি যাত্রীকে আনা হবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।