মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হচ্ছেন আলাপন, নতুন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী

0
559

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য-কেন্দ্র টানাপোড়ের আবহেই অবসর নিলেন বাংলার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামীকাল থেকে নতুন দায়িত্বে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ‘আগামীকাল থেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে কাজ করবেন’। নতুন মুখ্যসচিব করা হল হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। স্বরাষ্ট্র সচিব হলেন বি পি গোপালিকা।

এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ফের চিঠি দেয় কেন্দ্র। সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে কেন্দ্রের থেকে একটা চিঠি এসেছে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নর্থ ব্লকে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়ে চিঠি এসেছে। আর কিছু লেখানেই চিঠিতে’।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিশোধমূলক আচরণ। এরকম নির্দয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখিনি। এটা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের একার লড়াই নয়, সমস্ত আমলাদের লড়াই। সমস্ত বিরোধী দল, বুদ্ধিজীবীদের একজোট হয়ে লড়াইয়ের আর্জি জানাচ্ছি।রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিল। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কী চান? আমায় ফিনিশ করতে পারবেন না। মানুষ আমার সঙ্গে থাকবেন’।

অন্যদিকে,মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি খারিজ করে মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার দিল্লিতে রিপোর্ট করতে বলল কেন্দ্র।

কেন্দ্রের সেই জবাবের প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সাংবাদিক বৈঠক করেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এটা হল প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ। রাজ্য কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ আমলাকে দিল্লিতে বদলি করার নির্দেশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, “আলাপনের চাকরির মেয়াদ আজ দুপুরেই শেষ হয়েছে। তার পর তাঁকে দিল্লিতে বদলি করা যায় না। কারণ, তাঁর চাকরির মেয়াদ যে তিন মাস বাড়ানো হয়েছে তা কেবলই মুখ্যসচিব হিসাবে। সুতরাং তাঁকে দিল্লিতে আর বদলি করা যায় না। কেন্দ্রের কোথাও বিভ্রান্তি হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে বদলির নির্দেশ দেয় কেন্দ্র সরকার। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যসচিব পদে তিন মাসের জন্য আলাপনের মেয়াদ বাড়িয়েছিল রাজ্য সরকার। এ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে চিঠি চালাচালি হয়। এদিকে, আজই অবসর নেওয়ার দিন ছিল আলাপনবাবুর। শেষ পর্যন্ত রাজ্য-কেন্দ্র টানাপোড়ের আবহেই অবসর নিলেন আলাপনবাবু।

আলাপনের অবসর প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ এটা প্রশাসনিক বিষয়। কেউ অবসর নিচ্ছেন এই নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। ওঁর এক্সটেনশন চাওয়া হয়েছিল সেটা প্রদান করা হয়েছিল’।

Previous articleবাংলায় বিধিনিষেধে কিছুটা ছাড়, খুচরো দোকান খোলা থাকবে ১২-৩টে, ঘোষণা মমতার
Next articleগত চার দশকে এই প্রথম ঘরোয়া অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে ৭.৩ শতাংশ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here