দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সবেমাত্র সূর্যাস্ত হয়েছে। সানাইয়ের বাদ্যিটা বুঝিয়ে দিচ্ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। আর যত সন্ধ্যে গড়িয়েছে তত আলোর রোশনাই বেড়েছে মহারাষ্ট্র ভূমিতে। কারণ সেখানে নক্ষত্র–সমাগম হচ্ছিল। ঠিক, বহু যুগ বাদে শিবসেনার পক্ষ থেকে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। তিনি শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। যাঁকে প্রকাশ্যে শপথ বাক্য পাঠ করালেন ভগৎ সিং কোশিয়ারি।
গোটা মঞ্চ তখন উত্তাল হয়ে উঠেছে। শিবাজি মহারাজকে প্রণাম করে পা মঞ্চের দিকে এগোতেই ৪০০ কৃষকের জন্য তৈরি করা মঞ্চ থেকে চিৎকার করে সমর্থন জানিয়ে দিল। এটাই প্রকৃত জনগণের সরকার।
मी उद्धव बाळासाहेब ठाकरे… pic.twitter.com/rgbiHoFzlX
— Office of Uddhav Thackeray (@OfficeofUT) November 28, 2019
महाराष्ट्राच्या विकासाची हि नवी दिशा आहे. उद्धवजी ठाकरे यांनी मुख्यमंत्रीपदाची शपथ घेतली. याबद्दल त्यांचे मनःपूर्वक अभिनंदन. –@OfficeofUT #MaharashtraVikasAghadi
— Supriya Sule (@supriya_sule) November 28, 2019
উদ্ধব ঠাকরে শপথ নেওয়ার পরেই তাঁকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া।
Congratulations to Uddhav Thackeray Ji on taking oath as the CM of Maharashtra. I am confident he will work diligently for the bright future of Maharashtra. @OfficeofUT
— Narendra Modi (@narendramodi) November 28, 2019
Congratulations to @ShivSena, @NCPspeaks and @INCMaharashtra on forming the Govt. in Maharashtra.
This is a tight slap on the face of those trying to destroy the democratic fabric that holds our Nation together.#MahaVikasAghadi@OfficeofUT @PawarSpeaks— H D Devegowda (@H_D_Devegowda) November 28, 2019
Congratulations to Shri Uddhav Thackeray on taking oath as Maharashtra’s Chief Minister.
I hope he will work towards fulfilling the people's aspirations and take Maharashtra forward on the road to development.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) November 28, 2019
এই সরকার সব ধরনের উন্নয়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Congratulations to @OfficeofUT , @PawarSpeaks and @bb_thorat for forming the government in Maharashtra. Under your diligent leadership and firm commitment, we look forward to the State having a pro- people, stable government that works for all round development.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) November 28, 2019
শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের এই জোটকে সমাজবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ জোট বলে বর্ণনা করেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমনন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব।
महाराष्ट्र में महाविकास आघाडी की नव निर्वाचित सरकार एवं नव निर्वाचित मुख्यमंत्री श्री उद्धव ठाकरे जी को हार्दिक बधाई व शुभेच्छा!
‘सेक्युलरिज़्म’ और ‘सोशलिज़्म’ का ये नया महाराष्ट्रीय गठजोड़, आनेवाले नये राष्ट्रीय राजनीतिक युग की दस्तक है.
भाजपा के (अच्छे) दिन पूरे हुए.
— Akhilesh Yadav (@yadavakhilesh) November 28, 2019
শপথ নেওয়ার পরে বৃহস্পতিবারই স্ত্রী রশ্মি ও পুত্র আদিত্যর সঙ্গে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের সুনাম ছিল কার্টুনিস্ট হিসাবে। শিবসেনার দলীয় মুখপত্র সামনায় তাঁর বহু কার্টুন প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর ছেলে উদ্ধবের অবশ্য সুনাম রয়েছে ফোটোগ্রাফার হিসাবে। ‘মহারাষ্ট্র দেশ’ ও ‘পাহাবা বিত্তল’ নামে ছবির উপরে তাঁর দু’টি বই আছে।
ঠাকরে পরিবার কোনও দিনও প্রশাসনিক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। চিরকাল পারিবারিক বাসভবন মাতুশ্রী থেকেই শিবসৈনিকদের পরিচালনা করে এসেছেন বালাসহেব। পরে উদ্ধবও সেই ধারাই বজায় রেখে চলেছিলেন। বাবার মতো তিনিও প্রতি বছর দশেরায় শিবাজি পার্কে বক্তৃতা করে আসছেন। এই প্রথম তাঁদের পরিবারের কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ওরলি থেকে লড়ে ভোটে জেতেন উদ্ধবের ছেলে আদিত্য। আর ধারার বিপরীতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হলেন উদ্ধব।
তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তাঁর তুতো ভাই তথা মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে। এদিন শিবাজি পার্কে সত্তর হাজারের বেশি লোক হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এখানে কোনও লুকোচুরি করতে দেখা যায়নি। যেমন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ রাতের অন্ধকারে শপথ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ছিলেন। তবে এখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন মারাঠা স্ট্রংম্যান শারদ পাওয়ার। হাত নেড়ে তিনি যেন বুঝিয়ে দিলেন ওস্তাদের মার শেষ রাতেই। তারপর একে একে শপথ নিলেন একনাথ সিন্ধে, সুভাষ দেশাই, জয়ন্ত রাজারাম পাটিল, ছগন চন্দ্রকান্ত ভূজবল, বিজয় বালাসাহেব থোরাঠ, নীতীন কাশিনাথ রাউত–সহ অন্যান্যরা।
সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪০ মিনিটে সেখানে শপথ নেন উদ্ধব ঠাকরে। শিবসেনা–এনসিপি–কংগ্রেস জোট থেকে আরও ছ’জন এদিন সেখানে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। শপথ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর রাতেই উদ্ধবের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা।
উদ্ধবের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শিবাজি পার্ক পৌঁছন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বাল, আহমেদ প্যাটেল, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরেও। তবে জোটে সিলমোহর দিলেও উদ্ধবের শপথ অনুষ্ঠানে আসেননি সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী।
চিঠি লিখে ইতিমধ্যেই তা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। শিল্পপতি মুকেশ আম্বানী এবং নীতা আম্বানী উদ্ধবের শপথ অনুষ্ঠানে এলেন। জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে শপথ অনুষ্ঠান শেষ হয়। আর আবিরে আবিরে গোটা মহারাষ্ট্র যেন আরব সাগরের ঢেউকে আলিঙ্গন করল।