দেশের সময় ওয়েবডেস্ক:ফের দলত্যাগীদের তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘সিরাজদৌল্লাকে মানুষ সম্মান করে। কিন্তু, মীরজাফরকে কেউ সম্মান করে না। বাংলা তো অনেক ভালো আছে। দেখুন, পরিযায়ী শ্রমিকদের একটা টাকা দেয়নি ওরা, অথচ চোরগুলিকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে বিমান ভাড়া করে। এ-টু জেড চোরেদের নিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরা ফর্মুলায় এখানে বিজেপি ভেবেছে, তৃণমূলের কয়েকটি গদ্দারকে নিয়ে সরকার তৈরি করবে।‘ তাঁর প্রশ্ন, ‘বিজেপি পার্টিতে কারা যায়? যাঁরা দাঙ্গা করে তাঁরা যান। যাঁদের দু’নম্বরি টাকা আছে তারা যান। বিজেপি নাকি ওয়াশিং মেশিন! কেউ টাকা রাখতে যাচ্ছে তো কেউ টাকা বাঁচাতে যাচ্ছেন। ভালোবেসে কেউ যায় না। কয়েকজন শিল্পীর উপর চাপ তৈরি করছে বিজেপি-র আইটি সেল। বিজেপি-র পক্ষে লিখলে টাকা মিলবে, এমনই চাপ তৈরি করছে।‘ তিনি আরও বলেন, ‘যাঁরা বাংলায় থেকে বাংলার সঙ্গে গদ্দারি করে মানুষ ক্ষমা করবে না। তৃণমূলের বিকল্প তৃণমূল। তৃণমূলের বিকল্প আরও উন্নততর তৃণমূল।’
বৃহস্পতিবার তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ধৈর্য ধরার বার্তা দেন। সোনার ডিম পাড়া হাঁসের প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর কথায়। এদিকে শুরুতে সভায় আসা একাংশ দর্শকের আচরণে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কয়েকজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করার চেষ্টা করতেই সভার তাল কাটে। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি মিটিংয়ে কয়েকজন ঢুকে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। এভাবে কিছু কেউ করতে পারে না।’
যদিও পরে আবার তাঁদের মঞ্চেও ডেকে নেন জনদরদী নেত্রী। অন্যদিকে, ফের এদিন মমতার মুখে উঠে এসেছে ভোট ঘোষণার প্রসঙ্গ। বলেছেন, ‘চার পাঁচদিনের মধ্যেই ভোটের দিন ঘোষণা হবে। অফুরন্ত পরিশ্রম করছি। এখন শুধু চাইলেই হবে না। কী বাকি আছে বলুন তো! আমাকে কেউ ভালোবেসে কেউ যদি বলে, ঘর মুছে দাও, বাসন ধুয়ে দাও, আমি করে দেব। কিন্তু আমাকে চমকে-ধমকে কিছু করা যাবে না। আমি স্ট্রিট ফাইটার। নির্বাচনের আগে এসে কেউ কেউ বলছেন, এটা করে দিতে হবে, ওটা করে দিতে হবে। সেটা আমি পারব ব্লাকমেলিং করলে পারব না। তাতে আমাকে ভোট না দিলে দেবেন না। আমার কিছু আসে যায় না।
যাঁরা আমার সঙ্গে থাকবেন, তাঁদের ভোটেই আমার সরকার হয়ে যাবে।‘ তিনি আরও বলেন, ‘ত্রিপুরায় গিয়ে দেখে আসুন। ১০ হাজার শিক্ষককে স্থায়ীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, তাঁদের স্থায়ী করা দূরের কথা, চাকরিই খেয়ে নিয়েছে। অসমে গিয়ে দেখে আসুন, এনআরসি-র নামে কতজনকে হত্যা করেছে। বাংলায় শান্তিতে বসবাস করছেন। এখানে কত উন্নতি হচ্ছে।‘ অন্যদিকে, এদিনের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘২০২১ সালে ২৫০ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। তখন দিল্লির চেয়ার থরথর করে কাঁপবে।‘