ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে স্ত্রী-মেয়ের সঙ্গে কথাও বললেন বুদ্ধদেব

0
540

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এখন আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ বলে জানিয়েছে উডল্যান্ডস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে মেকানিকাল ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়েছে। তাঁর ফুসফুস আবার আগের মতোই কাজ করছে এবং তাঁকে নন ইভাসিভ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের তরফেই জানানো হয়েছে, ভেন্টিলেশন থেকে বুদ্ধদেববাবুকে বের করার পরে স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য ও মেয়ে সুচেতনা তাঁর সঙ্গে দেখা করেন।

বুদ্ধদেববাবুর প্রায় ইশারায় তাঁদের সঙ্গে বলেন। সেই সঙ্গে খোঁজ করেন তপনবাবু কোথায়। দীর্ঘদিন ধরে বুদ্ধদেববাবুর দেখভাল করছেন তপনবাবু।

প্রসঙ্গত, মেকানিকাল ভেন্টিলেশনের ক্ষেত্রে যেমন কৃত্রিম ভাবে ফুসফুসে অক্সিজেন পাঠানো হয়, নন ইভাসিভ ভেন্টিলেশন তেমন নয়। এ ক্ষেত্রে একটি ফেস মাস্ক বা নেসাল মাস্ক বা হেলমেটের মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সাহায্য করা হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বুদ্ধদেববাবুকে মেকানিকাল ভেন্টিলেশন থেকে বের করার পর তাঁর শরীর ঠিক মানিয়ে নিতে পারছে কিনা তা দেখার জন্য তাঁরা অপেক্ষা করেন। বেশ কিছু সময় পর্যবেক্ষণে রাখেন। তাতে দেখা যায়, তাঁর শরীরের সহ্য ক্ষমতা তথা ভিতরের জোর ফিরে পাচ্ছেন।

চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, ক্লিনিকালিও তিনি ভাল রয়েছে। তাঁর শরীরের উন্নতি হয়েছে। তিনি সচেতন ও সজাগ রয়েছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শরীরে রক্তচাপ, নারীর স্পন্দন এবং অক্সিজেন স্যাচুরেশন এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিন দুপুর দেড়টার সময়ে তাঁর ব্লাড গ্যাস অ্যানালিসিস হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে পিএইচ ফ্যাক্টর সন্তোষজনক । তাঁকে এখন ফ্লুইড দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিক ও স্টেরয়েড দেওয়া হচ্ছে।

দীর্ঘদিন ধরেই সিওপিডি-র সমস্যায় ভুগছেন বুদ্ধদেব। বুধবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন তাঁর জ্ঞান ছিল না। প্রথমে তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। রাতে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। শুক্রবার তাঁকে বের করা হল ভেন্টিলেশন থেকে।

Previous articleউচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল,হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য
Next articleবনগাঁয় ইছামতী নদী থেকে ৪০ লক্ষের রক্তচন্দন উদ্ধার করল বিএসএফ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here