দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ালো চিন। বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই লড়াইয়ে ভারতকে সবরকম ভাবে সাহায্য করবে তারা। ভিডিও বার্তায় করোনা সংক্রান্ত তথ্য ভারতকে ইতিমধ্যেই নাকি জানিয়েছে চিন।
কয়েক দিন আগে বেজিংয়ের তরফে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একটা বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে অংশ নেয় নয়াদিল্লিও। এই ভিডিও বার্তাতেই চিনা বিশেষজ্ঞরা করোনা মোকাবিলায় নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। এই বৈঠকে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান, মলদ্বীপ ও বাংলাদেশের প্রায় ২০০০ আধিকারিক অংশ নিয়েছিলেন।
সোমবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং জানিয়েছেন, “সেই ভিডিও কনফারেন্সে প্রতিটি দেশে থাকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। এই কনফারেন্সে করোনাভাইরাস আটকানো, পরীক্ষা করা, নিয়ন্ত্রণ করা, চিকিৎসা করা নিয়ে প্রায় ৮০টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে।”
গেং আরও বলেন, “৪ ঘণ্টা ধরে এই কনফারেন্স হয়েছে ও এখানে ২০০০ প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা সবাই মনে করেছেন, এই পরিস্থিতিতে চিনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। চিনে ভবিষ্যতেও মানবতার কল্যাণের জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করবে।”
এই বিষয়ে ভারতের সঙ্গে তথ্যের আদান-প্রদান হয়েছে বলেও জানিয়েছেন গেং। তিনি বলেন, “আমরা তথ্য দিয়েছি ভারতকে। সঠিক সময়েই এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। চিনে যেসব ভারতীয়রা রয়েছেন তাঁদেরও সবরকম সাহায্য করছি আমরা। তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকে আমরা নজর রাখছি।”
ভারতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে চিন চিন্তিত বলেও জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, “আমরা ভারতে এই মহামারী ছড়িয়ে পড়ার দিকে নজর রেখেছি। ভারত ও চিনই একমাত্র দুই দেশ যাদের এত বেশি জনসংখ্যা। তাই এই ভাইরাস আমাদের কাছে আরও বেশি চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে যা সাহায্যের দরকার আমরা দিতে প্রস্তুত। সেদিনের ভিডিও কনফারেন্সে ভারতও অংশ নিয়েছিল।”
এই ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগেরও প্রশংসা করেছেন গেং শুয়াং। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংকে একটি চিঠি লিখেছেন। চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। আমরা ভারতের তরফে থেকেও সাহায্য পেয়েছি। তার জন্য তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।”