দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত ডিসেম্বরে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলেছিলেন, ভারতে যেন সংকীর্ণ ধর্মীয় বিভাজন না দেখা দেয়। এদেশে বিপুল সংখ্যক মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ বাস করেন। তাঁরা নিজেদের ভারতীয় বলেই মনে করেন। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ভারতে এসে ধর্মীয় মেরুকরণ বা অসহিষ্ণুতার কথা উল্লেখও করলেন না। বরং বললেন, ভারতে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান, ইহুদি ও আরও নানা ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সঙ্গে বাস করেন।
ভাষণে দু’বার ভারতে ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তাতে মোদী সরকারের প্রতি প্রশংসার সুরই লক্ষ করেছেন অনেকে। অর্থাৎ ওবামার উল্টো মন্তব্যই করেছেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এর আগে শোনা হোয়াইট হাউসের এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানান, ভারতে গিয়ে ভাষণে ট্রাম্প ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রসঙ্গ তুলবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যখন তাঁর একান্তে বৈঠক হবে, তখনও বিষয়টি উঠবে।
তাঁর কথায়, “ভারত ও আমেরিকা গণতান্ত্রিক মুল্যবোধ ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সভায় সেকথা উল্লেখ করবেন। বৈঠকেও তিনি প্রসঙ্গটি তুলবেন। কারণ, আমাদের প্রশাসনের কাছে ধর্মীয় স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে এই প্রথমবার ধর্মকে নাগরিকত্ব দেওয়ার সময় বিবেচনায় আনা হবে। নাগরিকত্ব আইন বলছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যত অ-মুসলিম ব্যক্তি ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে এসেছেন, তাঁরা সকলেই শরণার্থী হিসেবে এ দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আমেরিকায় ইতিমধ্যে অনেকে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছেন। হোয়াইট হাউসের ওই কর্তা বলেন, “ভারত ও আমেরিকা, উভয়েই কয়েকটি সর্বজনীন মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। আমরা ভারতকে উৎসাহ দেব যাতে তারা আগামী দিনেও ওই মূল্যবোধগুলি মেনে চলে।”