দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ ভায়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা। মঙ্গলবার সকালে এমন মন্ত্র উচ্চারণ করে বোনেরা ফোঁটা দেবেন ভাইদের কপালে। তারপর এগিয়ে দেবেন মিষ্টির থালা। আবহমানকাল ধরে এমন চলে আসছে।
এই বছর ব্যাপারটার মধ্যে বৈচিত্র এনেছেন বর্ধমানের এক মিষ্টান্ন শিল্পী। ১০ রকম সেরা মিষ্টান্ন দিয়ে তৈরি করেছেন ভাইফোঁটা স্পেশাল থালি। এমনিতে আমিষ থালি আর নিরামিষ থালির কথা শোনা যায়। কিন্তু ভাইফোঁটা স্পেশাল থালির কথা শোনা গেল এই প্রথম।
প্রথমবার বাজারে এসেই হু হু করে বিক্রি হচ্ছে ভাইফোঁটা স্পেশাল থালি। বোনেদের দিব্যি পছন্দ হয়েছে এই নতুন কনসেপ্ট।
স্পেশ্যাল থালির ব্যাপারটা যে শিল্পীর মাথা থেকে বেরিয়েছে, তাঁর নাম অসিত রায়। তিনি থালি সাজিয়েছেন ১০ রকমের মিষ্টি দিয়ে। তাতে ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন। পুরো ব্যাপারটায় ট্রাডিশন্যাল লুক দেওয়ার জন্য মাটির থালা ব্যবহার করা হয়েছে।
তাতে সাজানো বর্ধমানের বিখ্যাত সীতাভোগ ও মিহিদানা। দু’টি মিষ্টিই থাকবে ১০০ গ্রাম করে। তার সঙ্গে বর্ধমানের বিখ্যাত ল্যাংচা। আর আছে গোলাপজাম। আধুনিক মিষ্টির মধ্যে সুগার ফ্রি রসগোল্লা, ম্যাঙ্গো সন্দেশ রোল, কল্পতরু সন্দেশ ও ভাইফোঁটা ছাপ দেওয়া সন্দেশ। বাড়তি আছে বাসমতী চালের পায়েস। মাটির থালার সঙ্গে থাকছে মাটির গ্লাস। তার দাম ৩২০ টাকা।
বর্ধমান শহরের রানিগঞ্জ চৌমাথা মোড়ের কাছে আছে বহু পুরানো এক মিষ্টির দোকান। তাতেই মিলছে ভাইফোঁটা স্পেশাল থালি। দোকানের দুই মালিক তাপস কুমার সেন ও সোমনাথ সেন বলেন, এবার তাঁরা ওই স্পেশাল থালি তৈরি করেছেন ১০০ টি।
মঙ্গলবার তার ভালোই চাহিদা আছে। নানা রকম মিষ্টি আলাদা করে না কিনে একেবারে বিশেষ প্যাকেজ হিসাবে এই থালি পছন্দ করছেন বোনেরা।
এই স্পেশাল থালিই এবার জমিয়ে দেবে বর্ধমানের ভাইফোঁটা।