দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকার ছাড় দেওয়ায় সবেমাত্র খুলেছিল অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের রাসায়নিক কারখানাটি। এর মধ্যেই ঘটে গেল বড়সড় দুর্ঘটনা।
বিষাক্ত গ্যাস লিক করে মৃত্যু হল অন্তত আট জনের। অসুস্থ এক হাজার জন । উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। শ্রমিকদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। মৃতদের মধ্যে একটি শিশু রয়েছে বলে খবর।
এলজি পলিমার্স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামক ওই বহুজাতিক রাসায়নিক কারখানা থেকে টক্সিক গ্যাস নির্গত হওয়ার ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। আশপাশের একটা বড় এলাকার মানুষের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। তাঁদের উদ্ধারকাজ চলছে। মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে প্রশাসন। কারণ হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাচ্ছেন অনেকে। নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কয়েকটি দেহ। মৃত্যু হয়েছে অনেক গরু, মোষেরও।
Praying for the well being of over 1,000 people fell sick and many faced breathing difficulties after an alleged gas leak from a chemical plant in #Vizag tdy early morning. As per reports,the leakage happened around 3 am at LG Polymers industry at Venkatapuran. #Vizaggasleak. pic.twitter.com/TCjb1ql69g
— Ashoke Pandit (@ashokepandit) May 7, 2020
Visuals of chemical leakage victims being shifted to hospital on bike in Vishakapatanam. Several people in a rush to escape from the mishap fell along the roads. pic.twitter.com/QAnwDR2ctd
— CharanTeja (@CharanT16) May 7, 2020
This is crazy scary… This video is unwatchable. Don't know what to say. #VizagGasLeak.
— Sumit Kashyap (@sumitkashyapjha) May 7, 2020
Whoever can help in whatever manner. Please do help 🙏
pic.twitter.com/TVgYCKJqjn
বৃহস্পতির সকালে কারখানর পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস লিক হতে থাকে। বিকট গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন শ্রমিকরা। বিপদ বুঝে বাজিয়ে দেওয়া হয় শিল্পতালুকের সাইরেন। এরপর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। শুরু হয় উদ্ধারকাজ।
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল হিন্দুস্তান পলিমার্স। তারপর ১৯৭৭ সালে কোরিয়ার সংস্থা এলজি কেমিক্যাল অধিগ্রহণ করে কারখানাটি। নাম হয় এলজি পলিমার্স।আশপাশের এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ট্যাঙ্ক থেকে গলগল করে গ্যাস বেরোতে দেখা গিয়েছে। বৃহত্তর বিশাখাপত্তনম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন পুরসভার বিভিন্ন ভবনে স্থানীয় মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে।এই ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও কেন্দীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে নির্দেশ দিয়েছেন অকুস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে নামতে। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর জওয়ানরা উদ্ধার কাজে নেমেছেন।অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উদ্ধার কাজে দলীয় কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই ঘটনা বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করেছে অন্ধ্রপ্রদেশে।