দেশের সময় ,ওয়েবডেস্ক: এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে রোগীমৃত্যু ও জুনিয়র ডাক্তারদের মারধরের ঘটনায় উত্তাল শহর। কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। তার মধ্যেই বুধবার দুপুরে বিজেপির লালবাজার অভিযান। আর এই লালবাজার অভিযানকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যেতে পারে উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তৈরি রয়েছে পুলিশও।
বসিরহাটের সন্দেশখালিতে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে বুধবার এই লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। জানা গিয়েছে, এই অভিযানে রাজ্যের ১৮ বিজেপি সাংসদই উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া এই অভিযানে সামিল হবেন বিজেপির গোটা রাজ্যের কর্মী-সমর্থকরা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁরা এসে পৌঁছচ্ছেন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে। বিজেপি সূত্রে খবর, এখান থেকেই এ দিন শুরু হবে মিছিল।
রাজ্য বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে বেলা ১২টা নাগাদ মিছিল শুরু হয়ে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট হয়ে লালবাজারের দিকে যাবে এই মিছিল। আবার অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল বেরিয়ে গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ ধরেও লালবাজারের দিকে যেতে পারে বিজেপির মিছিল।
এই মিছিল ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা করছে পুলিশ। তাই তৈরি তারা। লালবাজার পৌঁছনোর আগেই মিছিলকে আটকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, গোলমাল ঠেকাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট দিয়ে মিছিল এগোলে ফিয়ার্স লেনের কাছে সেই মিছিলকে আটকানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর যদি গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ দিয়ে মিছিল বেরোয়, তাহলে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউর মুখে মিছিলকে আটকানোর পরিকল্পনা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড করা হয়েছে। প্রথমে লাঠিধারী পুলিশবাহিনী এবং তার পিছনে থাকবে অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড, কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান। দুটি জলকামান তৈরি রাখা হয়েছে। সকাল ১১টা থেকেই লালবাজারে ঢোকার সবগুলো রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও লালবাজারে যাওয়া যায় এমন ২০টি গলি চিহ্নিত করে সেগুলিতেও নজরদারি করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে পুরো এলাকা জুড়ে।
লালবাজারের বাইরেও প্রায় ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোনও রকমের ঝুঁকি নিতে রাজি নয় পুলিশ। তবে এই মিছিলের ফলে যে ট্রাফিকের অবস্থা খারাপ হবে তা জানিয়ে দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানানো হিয়েছে, মধ্য কলকাতার লেনিন সরণী, এস এন ব্যানার্জি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ও উত্তর কলকাতার বিধান সরণী লাগোয়া রাস্তায় ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্বে রয়েছেন প্রচুর ট্রাফিক পুলিশ।