দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ দু’হাজার একুশ -এর বিধানসভা যদি আসল লক্ষ্য হয়, আগামী বছর কলকাতা পুরসভার ভোট নিঃসন্দেহে সেই লক্ষ্য ছোঁয়ার আগের শেষ ল্যাপ। আর সেই শেষ মহড়ায় জিততে এখন থেকেই ছক তৈরি করে ফেলছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই বুধবার কলকাতা পুরসভা ঘেরাও করার কর্মসূচী নিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। আর সেই অভিযানকে ঘিরেই রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কলকাতার চাঁদনি চক এলাকা।
এক নজরে:
- ২০২১-এর বিধানসভা যদি আসল লক্ষ্য হয়, আগামী বছর কলকাতা পুরসভার ভোট নিঃসন্দেহে সেই লক্ষ্য ছোঁয়ার আগের শেষ ল্যাপ।
- আর সেই শেষ মহড়ায় জিততে এখন থেকেই ছক তৈরি করে ফেলছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী বিজেপি।
- সেই লক্ষ্যেই বুধবার কলকাতা পুরসভা ঘেরাও করার কর্মসূচী নিয়েছিল রাজ্য বিজেপি।
ছবি তুলেছেন – কুন্তল চক্রবর্তী।
এদিন দুপুরেই বিজেপি যুব মোর্চার তরফে মিছিল করে কলকাতা পুরসভার উদ্দেশে অভিযান শুরু হয়। কিন্তু চাঁদনি চকের এয়ার ইন্ডিয়া অফিসের সামনেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ, সেইসঙ্গে বাছবিচার না করেই মহিলা কর্মীদের ওপরও দেদার লাঠিচার্জ করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন টলিউড অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী রিমঝিম মিত্র।
ঘটনার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিজেপির যুব সভাপতি দেবজিৎ সরকার। তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। বিজেপির কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতেই গোটা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় পুলিশের লাঠিচার্জ। আহত হয়েছে বিজেপির প্রায় ১০ জন কর্মী। প্রায় ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে এবার আঙুল ব্যাঁকাব। জঙ্গি আন্দোলন করতেও প্রস্তুত আমরা।’ পালটা দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কটাক্ষ, ‘এদের ব্রেনে ডেঙ্গি ঢুকে রয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যের দিকে চোখ মেলে দেখুন এখানকার নেতারা। অরাজকতার শেষ কথা।’
জলকরমুক্ত কলকাতা, জমির মিউটেশন কমানো, অবৈধ পার্কিং ও জঞ্জালমুক্ত কলকাতা, আর অবশ্যই ডেঙ্গি মুক্ত কলকাতা। বিজেপি নেতাদের দাবি, ওপর ওপর পরিষ্কার দেখালেও কলকাতা আসলে নোংরা, তাই এত ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। অর্থাৎ আগামী পুরভোটে বিজেপি কী কী ইস্যু নিয়ে লড়াই করবে, তা এখন থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।