দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল.খুনের ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় তখন গেরুয়া শিবিরের আরএক নেতা শমীক ভট্টাচার্যের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই শমীকবাবুর গাড়ির উপর এলোপাথারি ইটবৃষ্টি করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল জানিয়েছে, বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণেই এই হামলা হয়েছে।
নতুন কৃষি আইনের সমর্থনে জেলায় জেলায় কৃষক সুরক্ষা যাত্রা করছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের মোহনপুরে সেই কর্মসূচিতেই যাচ্ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। ওই হামলার ঘটনায় জখম হয়েছেন তাঁর গাড়ির চালক। শমীকবাবুরও অল্প আঘাত লেগেছে বলে খবর। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত খবর, ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে জখম বিজেপি নেতা ও তাঁর গাড়ির চালকের। বিজেপি সূত্রে খবর, এরপর ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানাতে যেতে পারেন শামীক ভট্টাচার্য।
বিজেপি নেতার অভিযোগ, গাড়ি ঘিরে হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের লোকজন। ছুরি চালিয়ে আঙুল কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। শমীকবাবু বলেন, কোনওক্রমে সেখান থেকে তাঁরা বেরিয়ে আসেন। সামনে একটি জায়গায় কয়েকজন পুলিশকর্মী বললেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। তাঁর কথায়, এরপর বিষ্ণুপুর থানায় যান। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে।
একটি স্টিল কালারের ইনোভা গাড়িতে চেপে যাচ্ছিলেন শমীকবাবু। সামনের সিটেই বসেছিলেন তিনি। হামলার পর দৃশ্যতই বিধ্বস্ত দেখায়ন দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতাকে। সাদা হাফ হাতা আদ্যির শার্ট পরে ছিলেন তিনি। সেটাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে আধলার ঘায়ে তুবড়ে দেওয়া হয়েছে গাড়ির বনেট। শমীক ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোনও ভেঙে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে কার মৌরষিপাট্টা চলে সবাই জানে। তাঁর বাহিনীই শামীক ভট্টাচার্যের উপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে। আর পুলিশ দূরে থেকে পকেটে হাত দিয়ে তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা উমাপদ পুরকাইতের অবশ্য পালটা দাবি, ‘বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। প্রচার পাওয়ার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি এই অভিযোগ তুলছে।’