দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে জটিলতা কাটল। দীর্ঘ আলোচনার পর আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করল বাম-কংগ্রেস। পাশাপাশি আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গেও সমঝোতার ইঙ্গিত মিলেছে। মঙ্গলবার বিকেলে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে আসন রফা সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ঘোষণা করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্য়ান বিমান বসু ও প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
বিমান বলেন, ‘বাম, শরিক দল, জাতীয় কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের মধ্যে সামগ্রিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বিধানসভার নির্বাচনে আমরা লড়াই করব।’
অধীর বলেন, ‘আজকেও নির্বাচনী জোটের বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে কায়েমী স্বার্থ, স্বৈরাচারী শক্তি কখনওই চাইছিল না বাম-কংগ্রেসের এই জোট হোক। আসন সমঝোতা নিষ্পত্তি হয়েছে। কে কত আসন পেলাম, তা এখনই বলব না। তার একটাই কারণ, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট-এর সামনে আসা। যা নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি করেছে। তাদের জন্য আমাদের কিছুটা জায়গা ছেড়ে রাখতে হচ্ছে।’ তাঁর সংযোজন, ‘এখন আসন সংখ্যা বলছি না। কারণ, তাতে আরজেডি, আইএসএফ, এনসিপি যাতে মনে করতে পারে যে, তাঁদের ছাড়াই আসন সমস্যা মিটে গিয়েছে। তাই আমরা সংখ্যা ঘোষণা করতে পারলাম না। বাংলায় দ্বিমুখী নির্বাচন হবে না। ত্রিমুখী লড়াই হবে।’
অন্যদিকে, বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশি হামলার ঘটনা নিয়ে অধীরের অভিযোগ, ‘আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর এই আক্রমণ। তাই মইদুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে।‘
এর আগে কয়েক দফা বৈঠকে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব ২৩০ আসনে আসন রফা চূড়ান্ত করে। বাকি ছিল আরও ৬৪টি আসন। এদিন তা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে আব্বাস সিদ্দিকীকে সদর্থক বার্তা দিতে আসনের হিসেব দেওয়া হল না। উল্লেখ্য, জোট করতে চেয়ে আইএসএফ নেতৃত্ব প্রথমে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও পরে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে চিঠি দেন। আব্বাসের সঙ্গে কথা হয় আব্দুল মান্নানের। সম্প্রতি সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, অধীর চৌধুরী, মান্নান ও প্রদীপ ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে জোটের বৈঠকে ঠিক হয় আব্বাসকে নিয়ে বৈঠক করা প্রয়োজন। সেখানেই আইএসএফ-এর সঙ্গে আলোচনা এবং আসন রফা চূড়ান্ত হওয়ার কথা। বুধবার সেই বৈঠক হতে পারে বলে খবর।
যদিও, ইতিমধ্যে ১৯৩টি আসন পরস্পরের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। অথচ মঙ্গলবার বিমান জানিয়েছেন, এই জোটে রয়েছে আরজেডি, এনসিপি ও জেডি (এস)-র মতো দলগুলি। তাই বাকি ১০১টি বিধানসভা আসন কী ভাবে এতগুলো দলের মধ্যে বন্টন হয় সেদিকেই নজর থাকবে রাজনীতির কারবারিদের৷