দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: বাংলায় দ্বিতীয় দফার নির্বাচন শুরুর আগেই রক্ত ঝরল। ভোটের আগেই রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। দাদপুর গ্রামে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার বিজেপি-র। বুধবার রাতে উত্তম দোলই নামে তৃণমূল কর্মীর পেটে ছুরির কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে কেশপুর হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। ভোররাত ২টো নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, ভোটের আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবাও। তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির। ঘটনাটি ঘটে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবা বিধানসভার আমতলি অঞ্চলে ১১১ বুথে । আহত বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী।
প্রসঙ্গত,বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার বাংলায় আট দফায় ভোট। একুশের লড়াইয়ে বাংলার কুর্সি কার হাতে থাকবে? এর উত্তর মিলবে আগামী ২ মে। ওই দিনই ভোটের ফল ঘোষণা। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে এবার হিংসা রুখতে তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মুখে পুলিশ-প্রশাসনে একঝাঁক বদল করা হয়েছে। ভোটের দিন ঘোষণার আগেই এবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
হিংসা রুখে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করা এবার কমিশনের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সুরক্ষাবিধির দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, এবারের ভোটে অন্যতম ব্যাটলফিল্ড নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী দ্বৈরথের দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। ভোটের আবহে শাসক-বিরোধী চাপান-উতোরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। সবমিলিয়ে ভোটের টান টান উত্তেজনাপূর্ণ মেজাজে ফুটছে গোটা বাংলা।