বনগাঁর দুর্গাপুজোর কার্নিভালে জনসমুদ্র, পুরষ্কারেও চমক : দেখুন ভিডিও

0
12
অর্পিতা বনিক , দেশের সময়

দুর্গাপুজোর জাঁকজমকে খ্যাতি রয়েছে বনগাঁর।
কলকাতায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডের সেই কার্নিভাল ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে। কলকাতার পাশাপাশি এখন জেলাতেও কার্নিভাল হচ্ছে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে। বনগাঁ পুলিশ জেলা ও বনগাঁ পুরসভার সহযোগিতায় শনিবার সন্ধ্যায় কার্নিভাল শুরু হয় মহা সমারোহে ।

বনগাঁ শহরে বড় বাজেটের পুজোর সংখ্যা ২৫টি। মণ্ডপ, মাতৃপ্রতিমা, আলোকসজ্জায় একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতা প্রতি বছরই থাকে। এ বার দুর্গাপুজো কার্নিভালে সেই প্রতিযোগিতা আরও বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন পুজো কমিটির সদস্যরা।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারের কার্নিভালে শহরের মোট ১০ টি পুজোকমিটি অংশ নিয়েছে। শোভাযাত্রা শুরু হয় বনগাঁর শক্তিগড় কালীবাড়ি থেকে। চাকদা রোড ধরে কার্নিভ্যাল এগিয়ে যায় ত্রিকোণ পার্কের দিকে। কার্নিভালে প্রথম স্থানাধিকারী অভিযান সংঘকে দেওয়া হয় 60 হাজার টাকা, দ্বিতীয় আমলাপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব পেল 50 হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী প্রতাপগড় স্পোর্টিং ক্লাবকে 40 হাজার টাকার নগদ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বনগাঁ পুরসভার তরফ থেকে। বাকিদের সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়।

এদিন শোভাযাত্রার শেষে বনগাঁ থানার ঘাটে ইছামতীতে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমার। বিসর্জনের জন্য যাবতীয় খুঁটিনাটির ব্যবস্থা আগেই করেছে পুরসভা। ইছামতীর জল যাতে দূষিত না হয়, সে জন্য হাইড্রা মেশিন দিয়ে প্রতিমা জলে ডুবিয়েই তুলে ফেলা হয়।


বনগাঁ জেলা পুলিশ এবং বনগাঁ পুরসভার যৌথ উদ্যোগে এই কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। এই কার্নিভালে যে দশটি পুজো কমিটি অংশ নিয়েছে তার মধ্যে বনগাঁ শহরের (১) প্রতাপগড় স্পোর্টিং ক্লাব,
(২)আনন্দময়ী মাতৃমন্দির ( বলাকা সমিতি ),
(৩) পূর্বাঞ্চল অধিবাসীবৃন্দ রেলবাজার,
(৪) শান্তি কমিটি সুভাষপল্লী দেবগড়,
(৫) ইউনাইটেড স্পোটিং ক্লাব, (৬)রেটপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব,
(৭) আমলাপাড়া এথলেটিক, (৮) সিন্দ্রানী বাজার ব্যবসায়ী সমিতি,
(৯)পাল্লা দক্ষিণপাড়া পুজা কমিটি
( ১০) অভিযান সংঘ –দেখুন ভিডিও

এদিন কার্নিভালের অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ মহকুমাশাসক উর্মী দে বিশ্বাস , বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার দীনেশ কুমার , পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ সহ অন্যান্য কাউন্সিলর গণ । কার্নিভাল দেখতে ত্রিকোণ পার্কে দর্শকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো ।

বৃহস্পতিবার দশমী থেকেই বিসর্জনের বাজনা বাজতেই দুর্গাপুজো কার্নিভালের দিন গোনা শুরু হয়েছিল । এবার উমাকে বিদায় জানাতে সুসজ্জিত শোভাযাত্রায় নাচে-গানে বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে বনগাঁর এই কার্নিভালে । এবার প্রতিমা নিরঞ্জনের বিষাদ দিয়ে এবছরের মতো দুর্গা পুজো শেষ। আসছে বছর আবার হবে ধ্বনি দিয়ে দিন গোনা শুরু ।

Previous articleThe Ever-Changing Nature of a Human Heart and Mind

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here