উচ্চস্বরে ফোনে কথা বলতে বলতেই হঠাৎ সেতুর রেলিং টপকে সোজা নদীতে বাঁপ দিলেন এক যুবক। শনিবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বনগাঁর ইছামতি নদীতে। রাখালদাস সেতু থেকে ওই ব্যক্তি ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির নাম অনুপ নাথ। বাড়ি বনগাঁ থানার কোড়ারবাগান এলাকায়। তবে ওই ব্যক্তি ঠিক কি কারণে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা জানা যায়নি। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গেছে, ব্যক্তিগত কারণেই সম্ভবত ওই ব্যক্তি এই কান্ড ঘটিয়েছেন। এদিন ওই বেক্তি নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় অবশেষে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধের কিছু আগে অনুপ নাথ নামে ওই ব্যক্তি ফোনে কারোর সঙ্গে কথা বলছিলেন। ফোনে কথা বলতে বলতেই তিনি প্ব্যপক উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং চিৎকার করে ফোনের অপর প্রান্তের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।

আর তারপরেই সরাসরি সেতুর উপর থেকে ইছামতি নদীতে ঝাঁপ দেন ওই ব্যক্তি। আচমকা এমন ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েন সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে থাকা স্থানীয় ব্যক্তিরা। চোখের সামনে এমন কাণ্ড দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে থাকা সিদ্ধান্ত বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি।

ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন বনগাঁ থানার পুলিশ কর্মীরা। স্থানীয় মাঝিদের সহযোগিতায় নৌকা নিয়ে নদী বক্ষে অনুপ নাথের সন্ধান চালানো হয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় অবশেষে সেতুর নিচ থেকেই অনুপ নাথের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাখালদার সেতুর উপরে ভিড় জমে যায়। দেহ উদ্ধার হওয়ার পর নৌকা করে অনুপ নাথের দেহটি নিয়ে আসা হয় বনগাঁ থানার ঘাটে। সেখান থেকে ময়না তদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। ঠিক কি কারণে ওই ব্যক্তি সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।