দেশের সময়, বনগাঁ: নিজেকে একপ্রকার দেবতার দূত হিসেবে প্রতিপন্ন করে ভক্তরা যা কামনা করেন, তাই পূর্ণ করে দেন তিনি। ঠিক হয় রোগ। এমনই এক বুজরুকের ডেরায় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী মঞ্চের সদস্যরা হানা দিলেন। বিপদ বুঝতে পেরে পালালো সেই ব্যক্তি।
বনগাঁ থানার চাঁদা পাঁচ মাইল বিনয় কলোনির রবীন ঠাকুরের বাড়িতে কালী মন্দিরে দীর্ঘদিন ধরে ভরে পড়ে। সঙ্গে ভরে পরেন আরো তিন মহিলারও।শনি, মঙ্গলবার তিনি ভক্তদের ফুল-বেলপাতা, মাটি শিকড়ের ওষুধ দেন। দাবি, ওই ওষুধ খেয়ে বহু মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠেন। দূরদূরান্ত থেকে প্রত্যেক শনি মঙ্গলবার ভিড় জমায় বহু ভক্তরা।
অভিযোগ, তাদেরকে প্রতারণা করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন ওই ব্যক্তি। বহু ব্যক্তিকে ফুল বেলপাতা মাটি দিয়ে কালী মায়ের নাম ভাঙিয়ে টাকা পয়সা নেন তিনি। মঙ্গলবার বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী মঞ্চের সদস্যরা প্রশাসনকে জানিয়ে ওই বাড়িতে ভক্ত সেজে হাজির হন এর পরেই বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী মঞ্চের সম্পাদক প্রদীপ সরকার ও কয়েকজন সদস্য বলতে থাকেন আগেও তো মাছ মাংস খেয়ে এসেছিলাম তখন ভর পড়লো কি করে৷
আগে আসার প্রমাণ দেখান প্রদীপ বাবু। প্রমাণ দেখে পালিয়ে যান ভরে পড়া তিন মহিলা। রবিনঠাকুর দরজা বন্ধ করে দেন। ভক্তদের মধ্যে শোরগোল তৈরি হয়। এরপর বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা ওই পরিবারকে বুঝিয়ে বলেন সমস্ত কিছু। ভক্তদেরও বুঝানো হয় যে এটা ভন্ডামী ছাড়া আর কিছু নয়।