ফেলে দেওয়া বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে পুরষ্কৃত কলকাতা ও শহরতলির স্কুলগুলি

0
13

সুপ্রকাশ চক্রবর্তী , দেশের সময় পরিবেশ সচেতনতা এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের লক্ষে তরুণ প্রতিভা উদ্ভাবনের প্রসারে সল্টলেকে অনুষ্ঠীত হল স্কুল স্তরের প্রকল্প প্রতিযোগিতা ২০২৫। “উদ্ভাবন, টেকসইতা ও বৃত্তীয়তা”- এই তিনটি মূল ভাবনার ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল আই ই এম-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে। শহরের বেশ কয়েকটি খ্যাতনামা বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলিয়ে ১০০-র বেশি প্রতিযোগী অংশ নেন। ছাত্রছাত্রীরা তাদের ভাবনা মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরেন। মোট ৫ টি ব্যতিক্রমধর্মী এবং কার্যকর প্রকল্পকে সম্মানিত করা হয়।

পরিচ্ছন্ন শক্তি, বর্জ্য হ্রাস, ইকো-ডিজাইন, জল সংরক্ষণ এবং স্মার্ট কমিউনিটি উদ্ভাবন সহ বিভিন্ন বিষয়ে পুরষ্কৃত করা হয় গোবিন্দপুর রত্নেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, হালিশহর রবীন্দ্র বিদ্যা মন্দির ও সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যাপীঠ, বেহালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও শিবপুর ভবানী বালিকা বিদ্যালয়কে । বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন পুরস্কার পেয়েছে পাঠ ভবন এবং বড়িশা বিবেকানন্দ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং প্রশংসা পেয়েছে ধনিচা উচ্চ বিদ্যালয়।
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এয়ার এন্ড ওয়াটারের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক সাধন কুমার ঘোষ পরিবেশগত মূল্যবোধ এবং উদ্ভাবনী দক্ষতা ছোটবেলা থেকেই গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন,বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা ও বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার করতে তিনি যে ‘ক্যাচ দেম ইয়াং,জিরো ওয়েস্ট এন্ড সার্কুলার ইকোনমি ইন ক্যাম্পাশ মিশন’ নিয়েছেন সেই ভাবনা থেকেই অনেক ছাত্রছাত্রী দীর্ঘমেয়াদি বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা ও বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার নিয়ে নানা মডেল করে এনেছেন। এতে অন্যরাও উৎসাহিত হবে।

আই ই এম-এর অফিস অব সাসটেইনেবিলিটির প্রধান অধ্যাপক রাহুল বৈদ্য বলেন, এই উদ্যোগে তরুণদের পাঠ্য বইয়ের বাইরে চিন্তা করতে এবং বাস্তব বিশ্বের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে। এটি শুধুমাত্র একটি বিজ্ঞান প্রতিযোগিতা নয় এটি দায়িত্বশীলতা, উদ্ভাবন এবং টেকসইতার মানসিকতা গড়ার অনুপ্রেরণা।
আই ই এম-এর অধ্যক্ষ অধ্যাপক অরুণ কুমার বর বলেন, আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হল শিখে তা প্রয়োগ করা। আই ই এম এর কলকাতার ডিরেক্টর অধ্যাপক সত্যজিৎ চক্রবর্তী বরাবরই টেকসই উন্নয়নে তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করার ওপর গুরুত্ব দেন। তাঁর দিকনির্দেশনায় আই ই এম ইতিমধ্যেই প্লাস্টিক-মুক্ত ক্যাম্পাস, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ, সোলার প্যানেল এবং পরিবেশকেন্দ্রিক গবেষণাগার চালু করেছে।

Previous articlePak Official Threatens Pahalgam Protestors: ‘গলা কেটে নেব’ প্রকাশ্যে ভারতীয়দের হুমকি পাক সেনাকর্তার, দেখুন ভিডিয়ো
Next articleMamata BanerjeeSSC: রিভিউ পিটিশন মে মাসেই , মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের মাসিক ভাতা ঘোষণা মমতার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here