ফের বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দুর,বললেন “প্যারাসুটেও নামিনি, লিফটেও উঠিনি, সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছি”!

0
2116

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : বিবেকানন্দ উদ্ধৃত করে দু’দিন আগে তাত্‍পর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন পরিবহণ ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বলেছিলেন, “আমি আমি হল সর্বনাশের মূল। যারা আমরা আমরা করে তারাই টিকে থাকে।”

ঐতিহাসিক নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে ফের তাঁর ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করার ধারাবাহিকতার কথা তুলে শুভেন্দু বলেন, “প্যারাসুটেও নামিনি, লিফটেও উঠিনি, সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছি।”
রাজনৈতিক মহলের অনেকে তো বটেই, তৃণমূলেরও অনেকে বলেন, শুভেন্দু হলেন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে উঠে আসা নেতা।

তৃণমূলের উত্থানভূমি নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তিনি ছিলেন অন্যতম নেতা। শাসকদলের অনেকে আড়ালে আবডালে এও বলেন, শুভেন্দু যে মাপের নেতা এবং মাঠে ময়দানের গণ আন্দোলনে তাঁর যা অভিজ্ঞতা দল সেই তুলনায় তাঁকে মর্যাদা দেয়নি। বরং এমন কাউকে কাউকে দলের সর্বোচ্চ জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, যাঁদের আন্দোলন সংগ্রামের কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। পর্যবেক্ষকদের মতে শুভেন্দু সেটাই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন।

এদিন শুভেন্দু বলেন, “৮৫ সালে কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। প্রথম বছরটা ভাবছিলাম কী করব। পরের বছর সিআর হয়ে গেম সেক্রেটারি হই। ৮৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক। ৮৮ সালে অ্যাকাউন্টেসি অনার্স নিয়ে ফার্স্ট ইয়ার। সে বছরই জিএস। ৯৫ সালে অবিভক্ত কংগ্রেসের হাত সিম্বলে কাউন্সিলর হই, “প্যারাসুটেও নামিনি, লিফটেও উঠিনি, সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে উঠেছি।”

সিপিএম জমানায় তিনি কী কী কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছেন, তারও উদাহরণ দেন শুভেন্দু। বলেন, “বিনয় কোঙার বলেছিলেন, চারদিক দিয়ে ঘিরে লাইফ হেল করে দেবেন। লক্ষণ শেঠ বলেছিলেন, নয়াচরে ঢুকলে শুভেন্দুর ঠ্যাঙ কেটে হাতে ধরিয়ে দেবেন। যেদিন বলেছে, তার পরের দিন নয়াচরে ঢুকেছি। ”


তিনি আরও বলেন, “আমাকে ওসব দেখিয়ে লাভ নেই। ছোটলোকদের দিয়ে কিছু বলালে তার মন্তব্য আমি করব না। আমি সেই লেভেলের নই।  কুকুর যদি মানুষের পায়ে কামড়ায়, তাহলে মানুষ কুকুরকে কামড়াতে যায় না। “


এদিন অবশ্য কারও নাম করেননি শুভেন্দু। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন, বোঝার জন্য ইশারাটুকুই যথেষ্ট। নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজ ময়দানে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “কেন বিয়ে করিনি জানেন? যাতে কোনও পিছুটান না থাকে। কখন ঢুকছি, কখন বেরোচ্ছি, কেউ যাতে ফোন না করে। বই পড়ে জেনেছিলাম, সতীশ সামন্তের মতো মানুষরা কেন অকৃতদার ছিলেন। তাঁরা ছোট পরিবারের পরিবর্তে মানুষের বৃহত্তর পরিবারকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তাই আমি ঘোষিত অকৃতদার।“

Previous articleআগামী সপ্তাহে বাংলায় আসছেন অমিত শাহ
Next articleসভাপতি পদ থেকে সরছেন দিলীপ? কী বলছেন মুকুল রায়,স্বপন দাশগুপ্ত,কী জানালেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here