পয়লা বৈশাখ পালনে রাজ্যে মিষ্টির দোকান খোলার জন্য মিলতে পারে ছাড়

0
2271

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দুধ নষ্ট বন্ধ করতে রাজ্যে লকডাউনের মধ্যেই মিষ্টির দোকান খোলার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে তিনি বলেন, মিষ্টির দোকান খোলা থাকলে দুধ নষ্ট বন্ধ হবে। তবে সারাদিনের জন্য না খুলে ঘণ্টা চারেকের জন্য মিষ্টির দোকানকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন মমতা।

এদিন নবান্নে তিনি বলেন, “পাড়ায় পাড়ায় যে মিষ্টির দোকানগুলি আছে সেগুলি আমরা দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খুলে রাখতে বলছি।” তাঁর বক্তব্য এর ফলে চাষিদের দুধ নষ্ট হবে না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বাচ্চাদের দুধের সরবরাহ যেন ঠিক থাকে সে ব্যাপারেও প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে।


উল্লেখ্য, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে দুধ বিক্রেতাদের করুণ অবস্থা শুরু হয়। অনেক জায়গাতেই দুধ পুকুরে ফেলে দিতে দেখা যায়। দুধের একটা বড় অংশ দিয়েই তৈরি হয় ছানা। আর তার মূল জোগানটাই হয় মিষ্টির দোকানে। এখন লকডাউনে মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় ছানার চাহিদা নেই। তার ফলে দুধেরও বিক্রি নেই। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই আংশিক সময়ের জন্য হলেও মিষ্টি বিক্রি শুরু করতে চায় রাজ্য।


হিসেব মতো কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা মতো ২১ দিনের লকডাউন শেষ হচ্ছে ১৪ এপ্রিল। সেদিন বাংলা নববর্ষ। সেটা আবার বাঙালির কাছে বড় উৎসব। সেটা যাতে একেবারে মাটি না হয় সেটাও রাজ্যে সরকার ভাবছে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন ১৩ এপ্রিল এনিয়ে আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে সরকার৷


এই প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রিভিউ করে যা দেখা যাচ্ছে তাতে আগামী দু’টো সপ্তাহ সেনসেটিভ। লকডাউনের মধ্যেই পয়লা বৈশাখ আছে। ওইদিন কিছুটা ছাড় দেওয়া হতে পারে। সেটা আমরা ১৩ এপ্রিল বসে আলোচনা করে জানাবো।” তবে তার আগে স‌মস্ত

নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগান ঠিক থাকা চাই। মমতা বলেন, “আমি চাই পাড়ায় পাড়ায় মুদির দোকানগুলি খোলা থাক। মুদির দোকানদার যেখান থেকে মাল আনে সেগুলিও খোলা থাক। ওষুধের দোকান থেকে জরুরি পরিষেবা সব খোলা থাকবে।”

Previous articleলক ডাউনে স্তব্ধ যান চলাচল,বন্ধ কলকারখানা, কমল বায়ুদূষণের মাত্রা
Next articleকরোনা মুক্ত প্রিন্সচার্লস, আইসোলেশন থেকে বেরিয়ে এলেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here