নেহা নস্কর,দেশের সময়: প্রায় বিলুপ্তির পথে বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের প্রজনন ঘটিয়ে নজির গড়েছেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। এ বার পরবর্তী পর্যায়ে চলছে বাদাবনে তাদের পুনর্বাসনের পালা।
বিশ্বে এই প্রজাতির কচ্ছপের সংখ্যা সাড়ে পাঁচশোর মত। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী তার সিংহভাগই রয়েছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায়। সংখ্যাটি ৩৭৪। কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ার সফল প্রয়োগেই এই সংখ্যাবৃদ্ধি। এ বার সেই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সজনেখালির পুকুরে পালিত কিছু পূর্ণবয়স্ক বাটাগুরকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগিয়ে সুন্দরবনের খাঁড়িতে ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়েই শুরু হয়েছে সেই কাজ।
ভারত ও বাংলাদেশের সুন্দরবন ছাড়া ওড়িশার ভিতরকণিকার বাদাবন ও ভিয়েতনামে বাটাগুরদের দেখা যায়। ২০০৮ সালে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সংগৃহীত ডিম থেকে প্রথম বাটাগুরের প্রজনন ঘটিয়েছিলেন। বঙ্গোপসাগর মোহনায় সামুদ্রিক কাছিম, অলিভ রিডলের ডিম সংগ্রহ করতে গিয়ে খাঁড়ি থেকে বিরলতর বাটাগুরের ডিম পেয়েছিলেন বনকর্মীরা।
২০১২ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে সজনেখালির বাটাগুর প্রজনন প্রকল্প চালু হয় ১২টি পূর্ণবয়স্ক কচ্ছপকে নিয়ে। প্রথম বছরেই সাফল্যের মুখ দেখেন বনকর্তারা। ৩৩টি শাবক জন্মায় সজনেখালির পুকুরে। পরের বছর সংখ্যাটি বেড়ে হয় ৫৬। এর পর ২০১৪ সালে হয় ৫৫, ২০১৬ সালে ৯৬, ২০১৭-তে ৭৪টি বাচ্চা জন্মায়। ২০১৯ সালের ৫০টি বাটাগুর বাসকা ডিম ফুটে বেরনোর পরে বর্তমানে সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ৩৭৪-এ।