দেশেরসময় ওযেবডেস্কঃ : আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন । বর্তমানে উপনির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলি । তৃণমূলের প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এরই মাঝে বৃহস্পতিবার ভবানীপুরে জৈন মন্দিরে হাজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
‘ঘরের মেয়ে’র চেনা মাটি ভবানীপুর। আর সেই কারণেই প্রায় ঘরে ঘরে গিয়ে জনসংযোগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কারণ, এখানে সকলেরই ভরসা যে তিনিই। প্রচারে বেরিয়ে প্রত্যেকের মনের সেই কথা তিনি টের পাচ্ছেন। কি গুরুদ্বার, কি মসজিদ, কি মন্দির – যেখানেই যাচ্ছেন, জনতার ভিড় তাঁকে ঘিরে বলছে, ‘আপনাকেই চাই।’ বুধবার গুরুদ্বারে গিয়ে ভোট জয়ের জন্য আশীর্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি শিখ সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় করেছিলেন মমতা৷
ভবানীপুরের উপনির্বাচনের দামামা বর্তমানে বেজে গিয়েছে শহর জুড়ে । ইতিমধ্যেই বিজেপি তৃণমূলের তরফে সকলেই নেমে পড়েছে প্রচারে । প্রতিনিয়ত তৃণমূলের তরফে চলছে প্রচার । সেই প্রচারে নেমেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ।
বৃহস্পতিবার চক্রবেড়িয়ায় তিনি একটি প্রচারসভায় যোগ দেন। তার আগে জৈন মন্দিরে পুজো দেন, জৈন গুরুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ওই সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এরপর চক্রবেড়িয়ার সভায় গিয়ে তিনি বিজেপির উদ্দেশে বলেন, ”ভ-এ ভবানীপুর, ভ-এ ভারতবর্ষ। এই ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ শুরু। ভবানীপুর থেকেই বাংলা মুখ্যমন্ত্রী পাবে। ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ দেখবে।”
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জৈন মন্দিরে সেখানকার প্রথা মেনে তিনি পুজো দেন, আরতি করেন। তারপর জৈনগুরুদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তাঁদের প্রণাম জানান, আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। জৈন মন্দিরে মমতার সঙ্গে ছিলেন সুব্রত বক্সি, দেবাশিস কুমার। এখানেই জৈন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে দেখা করে হাতে কিছু উপহার তুলে দেন। তাঁদের সঙ্গে সামান্য কথাবার্তা বলে মন্দির ছেড়ে সভায় যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভবানীপুর তাঁর চেনা মাটি। জয়ের ব্যবধানে রেকর্ড গড়াই লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর তাই তিনি প্রায় প্রতিদিনই জনসংযোগ করছেন। বৃহস্পতিবার চক্রবেড়িয়ার সভা থেকে জনতার কাছে ভোটের আবেদন জানাতে গিয়ে মমতা বললেন, ”এখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হব। আর ভোটে জিতে বিধায়ক না হলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা শোভনীয় হবে না। আমি ৬ বার দক্ষিণ কলকাতা থেকে ভোটে লড়েছি। ২০১১ সালেও উপনির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। ২০২১এও তাই। এটাই হয়ত হওয়ার ছিল।”