দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া বাইক চালাচ্ছিল যুবক। পেছনে তাকে জাপটে ধরে বসে সঙ্গিনী। দু’জনকেই আটক করে পুলিশ। কিন্তু তাদের আটক করে গাড়িতে তোলার পরেই যা ঘটল, তা জীবনেও ভাবতে পারেননি পুলিশ আধিকারিকেরা। ভাবতে পারলে হয়তো আটক করে গাড়িতে তোলার আগে দু’বার ভাবতেন তাঁরা!
ফ্লরিডার এই ঘটনায় পুলিশ দাবি করেছে, আটক গাড়ির পিছনের সিটে মদ্যপ অবস্থায় অবাধ যৌনতায় মজেছিল ওই যুগল!
পুলিশ জানিয়েছে ওই যুবক ও তার সঙ্গিনীকে আটক করে গাড়িতে তোলা হয়। তার পরে নিজেদের মধ্যে কথা বলার জন্য সেই গাড়ির বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু কিছু ক্ষণ করেই গাড়ির পিছনের দরজা খুলতেই, চমকে উঠলেন তাঁরা। যা ভাবা যায় না, তা-ই ঘটেছে। ফাঁকা গাড়ির ব্যাকসিটে নগ্ন হয়ে যৌনতায় মেতেছে তারা৷
ফ্লরিডার নাসাউ প্রদেশের সাউথ ফ্লেটসের এলাকার পুলিশ জানিয়েছে, গভীর রাতে পথ আটকানো হয় ৩১ বছরের অ্যারন থমাসের। লাগামছাড়া গতিতে বাইক ছোটাচ্ছিল সে। পেছনে ছিল তার সঙ্গিনী, ৩৫ বছরের মেগান মনদারনো। তাদের আটক করে দেখা যায়, দু’জনেই মাত্রাতিরিক্ত নেশায় ডুবে রয়েছে। এতটাই খারাপ পরিস্থিতি,যে হাঁটতেও পারছিল না তারা৷
তাই তাদের পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়৷ এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘ওদের গাড়িতে তোলার পর, আমরা গাড়ির বাইরে অপেক্ষা করছিলাম৷ কিছু ক্ষণ পরে একটা অদ্ভুত আওয়াজ পেয়ে পিছনের দরজা খুলি আমরা৷ এবং দেখি, গাড়ির ভিতরেই অবাধ যৌনতায় মেতে থমাস ও মনদারনো৷ নগ্ন অবস্থায় ছিল তারা।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই অবস্থায় ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জামাকাপড় না পরেই পালানোর চেষ্টা করে থমাস৷ কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি৷ শেষমেশ যুগলকে গ্রেফতার করা হয় তখনই। পুলিশ জানিয়েছে, এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বারআইন ভাঙার অপরাধে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে এই যুগল৷ জেলও খেটেছে তারা৷ ছবি- প্রতীকি.