দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত সোমবার পুজো মামলার রায়ে বড় রায় ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দিয়েছিল, পুজো মণ্ডপ দর্শকশূন্য রাখতে হবে।
বুধবার সেই রায়ে সামান্য পরিবর্তন করল হাইকোর্ট। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে রিভিউ পিটিশনের এদিন শুনানি হয়। ওই শুনানির পর বিচারপতিরা তাঁদের পূর্বতন রায় পুনর্বিবেচনা করে সামান্য পরিবর্তন করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, নো এন্ট্রি জোন তথা প্যান্ডেলের মধ্যে ঢাকিরা থাকতে পারবেন। তা ছাড়া বড় পুজোগুলোর মণ্ডপে কমিটির ৬০ জন সদস্য থাকতে পারবেন। একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫ জন মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন।
গত সোমবার যে রায় ঘোষণা করেছিলেন বিচারপতিরা তাতে বলা হয়েছিল, বড় পুজোগুলোতে পুজো কমিটির ১৫ জন সদস্য মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন। সেই সংখ্যাটাই এদিন বদল করা হয়েছে। তা ছাড়া আদালত আগে জানিয়েছিল, ওই ১৫ জনের তালিকা পরিবর্তন যোগ্য নয়। রোজ রোজ বদল করা যাবে না। তবে এদিন বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ৬০ জনের তালিকা রোজ সকাল বদল করা যাবে। সকাল ৮ টার মধ্যে নতুন তালিকা দিতে হবে পুলিশকে।
বড় পুজো বলতে কাদের বোঝাচ্ছে? উঠলো প্রশ্ন:
বিচারপতিরা জানিয়েছেন, যে সব মণ্ডপের আয়তন ৩০০ স্কোয়ার মিটার বা তার বেশি সেগুলিকে বড় মণ্ডপ বলে বিবেচনা করা হবে।
এদিন সকালে শুনানি শুরু হলে কলকাতার দুর্গাপুজো কমিটিগুলির যৌথ ফোরামের তরফে আবেদনে বলা হয়, তারা কোনও ছাড় চাইছেন না। শুধু মণ্ডপগুলোতে যেন স্থানীয়দের সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রবেশের অধিকার দেওয়া হয়। যাতে তাঁরা পুজো দিতে পারেন। তাঁদের প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আলাদা পথ থাকবে।
কিন্তু আদালত সরাসরি সেই আবেদন মেনে নেয়নি। তবে জানিয়েছে, পুজো কমিটির ৬০ জনের তালিকা রোজ পরিবর্তন যোগ্য। ফলে পুজো কমিটির ওই তালিকার মাধ্যমে স্থানীয়দের অন্তত একাংশ মণ্ডপে প্রবেশের অনুমতি পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।তবে তেমন বড় কোনও পরিবর্তন হল না। পুজো মণ্ডপ দর্শকশূন্য রাখার অবস্থানেই অটল থাকল হাইকোর্ট।