দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ খালি চোখেই দেখা গিয়েছিল লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবিটা। কাজ হারানো ঘরমুখী শ্রমিকদের একের পর এক মৃত্যুর ঘটনাও দেখেছিল দেশ। কিন্ত কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল, পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর বিষয়ে কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। সুতরাং ক্ষতিপূরণেরও প্রশ্ন নেই।
পরিযায়ী ইস্যুতে সোমবার একাধিক বিরোধী সাংসদরা কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন। বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনের একটা বড় সময় পরিযায়ী ইস্যুতে আলোচনা হয় লোকসভায়। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক লিখিত জবাবে জানিয়েছে, তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই।
ওই লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এক কোটির বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ঘরমুখী হতে শুরু করেছিলেন মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে। যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, এই তথ্যেও বিস্তর গোলযোগ রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, অন্তত ছ’কোটি পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারিয়ে ঘরমুখী হয়েছেন।
বিরোধীদের প্রশ্ন ছিল, এত পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হল দেশে। অপরিকল্পিত লকডাউনের ফলে এত মানুষের জীবন গেল। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে কি কোনও নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে? কেন্দ্রীয় সরকার কি ওই পরিবারগুলির জন্য কোনও ক্ষতিপূরণের পরিকল্পনা করেছে?
লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ কুমার গাঙওয়ার বলেছেন, এ ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে কোনও তথ্য নেই। তাই ক্ষতিপূরণেরও প্রশ্ন নেই।
স্বাভাবিক ভাবেই কেন্দ্রের এহেন জবাব নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিরোধীরা। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দ্বিগবিজয় সিং বলেন, “কেন্দ্রের এই উত্তর শুনে আমি স্তম্ভিত। আমার মাঝে.মাঝে মনে হয়, আমরা অন্ধ হয়ে গেছি। আর সরকারও এটাকে.স্বাভাবিক ভেবে নিয়েছে। তাই যা ইচ্ছে তাই বলছে।
লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই ঘরে ফেরার হিড়িক পড়ে যায় শ্রমিকদের মধ্যে। রাজ্য হাইওয়েগুলিতে পরিযায়ী ধার্মিকদের হেঁটে যাওয়ার ছবি এখনও টাটকা। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা থেকে দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে কাজ হারানো মানুষের পথ হাঁটার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিরোধীরা। একের পর এক দুর্ঘটনা এবং অসুস্থ হয়ে মৃত্যু তা আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্ত কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে জানাল, তাদের কাছে তথ্য নেই!